ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে হামজাদের হংকং ম্যাচের টিকিট বিক্রি সোমবার


আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-হংকং এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ। ওই ম্যাচের জন্য টিকিট বিক্রি অনলাইনে শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। এবার টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে কুইকেট নামের প্রতিষ্ঠান। এর আগে ১০ জুন অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য টিকিফাই টিকিটিং পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল।
আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল বলেন, ‘সাতটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দর ও মানের বিবেচনায় কুইকেটকে টিকিটিং দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এক সঙ্গে এক লাখ লগ ইন লোড নিতে পারবে। টিকিটিং কার্যক্রম কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে তারা বাফুফেকে জরিমানা হিসেবে ১০ লাখ টাকা প্রদান করবে। এমন শর্তেই তারা কাজ করতে রাজি হয়েছে। বাফুফে ফেসবুক পেজে নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকিট সংগ্রহের নির্দেশনা থাকবে।’
৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় এই ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে রাত ৮ টা। সিঙ্গাপুর ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। গ্যালারি টিকিটের মূল্য আগের মতোই ৪০০ টাকা রয়েছে। সিঙ্গাপুর ম্যাচে ক্লাবগুলো মাত্র দু’টো টিকিট পেয়েছিল। এতে অনেক সমালোচনা হয়েছিল।
এবার ক্লাব, সাবেক ফুটবলার, ফুটবল সংশ্লিষ্টদের জন্য কত সংখ্যক টিকিট সংরক্ষিত থাকবে এটি নির্ধারণ করবে বাফুফে নির্বাহী কমিটি। ফুটবলের প্রকৃত দর্শকরা ঘরোয়া ফুটবলে মাঠে যায়। অনলাইনে সকল টিকিট ছাড়লে তখন নিয়মিত দর্শকদের অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন না। এই বিষয়টি বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।
১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচে অনেক অব্যবস্থাপনা ছিল। অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে সমর্থকদের ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। আবার স্টেডিয়ামে এসেও পানি সহ অন্যান্য বিষয়ও ভোগান্তি ছিল। এসব বিবেচনায় এবার ইভেন্ট পার্টনারকে সকল দায়িত্ব দিয়েছে বাফুফে, ‘আমরা গতবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এবার ইভেন্ট পার্টনারকে সকল দায়িত্ব দিয়েছি। তারাই সামগ্রিক দেখাশোনা করবে। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, পুলিশ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেখা করব। যেন ম্যাচটি নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা যায়। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে যেমন সেনাবাহিনী সাপোর্ট ছিল আমরাও হংকং,ভারত ম্যাচে এমন সহায়তা চাই’ বলেন তাজওয়ার।
সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাফুফের ইভেন্ট পার্টনার ছিল হাইভোল্টেজ। ব্র্যান্ডিং ও ইভেন্টের ব্যয় বহন করায় তাদের মতো করে স্পন্সর নেয়ার সুযোগ দিয়েছিল বাফুফে। এতে ইভেন্ট পার্টনার লাভবান হওয়ার সুযোগ পেলেও বাফুফের লাভের অংশ ছিল কমই। তাই এবার বাফুফে স্পন্সরের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছে, ‘গতবার ভুল হয়েছে বলব না। আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমরা ফেডারেশন-ইভেন্ট পার্টনার ও স্পন্সর ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে যাচ্ছি। স্পন্সর যেই আসুক এর অংশ বাফুফে পাবে। কত শতাংশ সেটা প্রকাশ করছি না।’ বাফুফে এখনো ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্টের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে জানা গেছে, ইন্টার স্পিড হংকং ম্যাচের দায়িত্ব পেয়েছে।
কম্পিটিশন কমিটি মূলত জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের হোম ম্যাচে সক্রিয়। তাই আজকের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কম্পিটিশ কমিটির আওতা ও পরিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়ে কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়ালের ব্যাখ্যা, ‘দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রতিযোগিতা ব্যবস্থাপনা আমাদের দায়িত্ব। ঘরোয়া প্রতিযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি আছে। তারাই দেখভাল করে।’ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় পাশে ছিলেন কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফে নির্বাহী সদস্য গোলাম গাউস।
