ফিফা উন্মোচন করল ২০২৬ বিশ্বকাপের তিন মাসকট


২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নতুন একটি চমক দিয়েছে। উত্তর ও মধ্য আমেরিকার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য আসরের জন্য ফিফা সম্প্রতি তিনটি মাসকট উন্মোচন করেছে।
এই মাসকটগুলো তিনটি আয়োজক দেশের—কানাডা, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্র—প্রতীককে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি মাসকট দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলোকে ফুটিয়ে তোলে।
ফিফা জানিয়েছে, এই মাসকটগুলো ক্রীড়া উৎসাহীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টির পাশাপাশি, বিশ্বকাপের আকর্ষণ ও ভিজ্যুয়াল পরিচিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী আসরে এই মাসকটগুলো মাঠে ও মাঠের বাইরেও খেলোয়াড় ও ভক্তদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে দেখা যাবে।
ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, কানাডার মাসকটের নাম ‘মেপল’, মেক্সিকোর ‘ফ্রিডম’ আর যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লাচ’।
এ তিন চরিত্রকে তৈরি করা হয়েছে বৈচিত্র্য, ঐক্য ও সুন্দর খেলার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘মেপল, ফ্রিডম আর ক্লাচ আনন্দ, শক্তি আর একসঙ্গে থাকার মানসিকতায় ভরপুর। ঠিক যেমনটা দেখা যায় বিশ্বকাপে। শিশুদের জার্সি থেকে শুরু করে ভিডিও গেমস—সব জায়গায় এগুলো লাখো মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসবে।
প্রতিটি মাসকটেরই রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গল্প। মেপল হলো এক মুজ বা কানাডিয়ান হরিণ, যে দেশজুড়ে ভ্রমণ করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। সংগীতপ্রেমী ও স্ট্রিট কালচারে অভ্যস্ত মেপল একজন শিল্পী, আবার গোলরক্ষক হিসেবেও সে কিংবদন্তি। তার গোল সেভ করার দক্ষতাই তার আসল পরিচয়।
‘ফ্রিডম’ এসেছে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের বন থেকে। সে একটি জাগুয়ার, যা ঐতিহ্য, শক্তি ও প্রাণবন্ততার প্রতীক। মাঠে সে রূপ নেয় দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকারে, যার গতি ও সৃজনশীলতা প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য হুমকি।
‘ক্লাচ’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতীক সাদা-মাথাওয়ালা ঈগল। দুঃসাহসিক অভিযানে উড়তে উড়তে সে দেশজুড়ে সংস্কৃতি, খেলা ও আনন্দকে আলিঙ্গন করে।
সামাজিকতা ও খেলাধুলার প্রতি উন্মাদনায় ভরপুর ক্লাচ একজন আদর্শ মিডফিল্ডারের মতো—যেখানেই যায়, মানুষকে একত্রিত করে।
ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী, এই তিন মাসকট কেবল চরিত্র নয়, বরং আয়োজনের আত্মা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে এই প্রাণবন্ত প্রতীকগুলোই ছড়িয়ে দেবে ঐক্য আর উদযাপনের আবহ।
