দিল্লিতে মোদির ‘বাংলাদেশি বোন’ বসে আছেন


বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র রূপ ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি অভিযোগ করেছে, সীমান্তপাড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে এবং তা রাজ্যের ভোটচিত্র পাল্টাতে পারে। এসব অভিযোগকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী দলগুলোকেই দায়ী করছেন বলে দলের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই। তিনি বিজেপির অভিযোগকে উষ্মহেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা ও বিহারের গ্রামাঞ্চলে তার দল নিয়মিত ভোট করেছে এবং সেখানে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি নেই।
ওয়াইসি আরও কটাক্ষ করে বলেন, “যদি মোদিজি বলছেন বিহারে বাংলাদেশি আছে, তাহলে বলি—বিহারে তো নেই; কিন্তু দিল্লিতে আপনার (মোদির) 'বোন' বসে আছেন, তাকে দেশে ফেরত পাঠান।” তিনি দাবি করেন, সরকার বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্য করে রাজনৈতিক নাটক সৃষ্টি করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সীমান্ত-জনিত অনুপ্রবেশ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ওঠা এই বিতর্ক নির্বাচনী উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রশাসন এবং পুলিশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা।
এ ব্যাপারে বিজেপি ও রাজ্য প্রশাসনের কোন প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি; উভয় পক্ষের মন্তব্য পাওয়া গেলে তা সংবাদে যোগ করা হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণবিপ্লবের মুখে দেশ থেকে পালান সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দিল্লির একটি গোপন জায়গায় অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক বৈঠকে ভারত ও হাসিনার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন হাসিনা ভারতে থাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সমস্যা হচ্ছে।
