খেলা হয়নি, তবু ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন বাংলাদেশে


আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আবারও পতন দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০ দলের তালিকায় ৯ নম্বর থেকে আবারও দশম স্থানে নেমে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। ১০ আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের এই অবস্থান উঠে এসেছে। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক অঙ্কের মধ্যে থাকার পর ২০০৬ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ দশম স্থানে নেমে যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে জয় সত্ত্বেও বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বর থেকে নিচে নামা থেকে রক্ষা পায়নি।
মূলত দশে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে র্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিলে তাদের এক ধাপ উত্তরণ হয়, যার দলে বাংলাদেশ নেমে যায় দশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে পাকিস্তানেরও অবনমন হয়েছে এক ধাপ, তাদের পাঁচে ঠেলে শ্রীলঙ্কা উঠে গেছে চারে। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলের রেটিং পয়েন্ট ছিলো ৭৭, তবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের পয়েন্ট এখন ৭৮। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে সালমান আগার দলের কাছে যদি তারা হেরেও যায় তবু একই অবস্থান বহাল থাকবে।
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে এ দুটিই পরিবর্তন। ৯ নম্বরে বাংলাদেশের জায়গা নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৪ নম্বরে পাকিস্তানের জায়গা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৭৮, বাংলাদেশের ৭৭। আর ৪ ও ৫-এ থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের রেটিং যথাক্রমে ১০৩ ও ১০২। এই মুহ‚র্তে ১২৪ রেটিং নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের রেটিং ১০৯।
২০২৭ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে র্যাঙ্কিং গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ দলের সেই আসরে স্বাগতিক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। বাকি ১২টি জায়গার আটটি পূর্ণ হবে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে, চারটি বাছাইয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশকে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করতে হলে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে হিসাব থেকে বাদ যাবে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ও জিম্বাবুয়ে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ দল এখন ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও দশ নম্বরে আছে। টেস্টে আছে ৯ নম্বরে।
