ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর, নিম্নাঞ্চল প্লাবনের আশঙ্কা


ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়ে অব্যাহত ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে নদীর জলস্তর বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নভূমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি ৫২.১৬ মিটার পর্যায়ে রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার বেশি।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আগামী তিন দিন তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়তে পারে। এ সময় লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
তিস্তার পানি বাড়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে ঢুকে পড়তে পারে পানি।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘ঢাকার বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী তিস্তার পানি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমার আরও ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সাময়িকভাবে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
