২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য বড় ধাক্কা আসতে পারে


২০২৬ সালের ১১ জুন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামে পরিচিত এই টুর্নামেন্টে ব্রাজিল খেলেছে প্রতিটি আসরে। যেখানে ব্রাজিল খেলেছে, সেখানেই সমর্থকদের ঢল নেমেছে—ভরপুর থেকেছে স্টেডিয়াম। তবে এবার সেই চিত্র বদলে যেতে পারে। কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উপস্থিতি কমে যেতে পারে, যা দলের জন্য বড় এক ধাক্কা হতে পারে। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সমর্থন এবার আগের মতো জোরালো নাও থাকতে পারে গ্যালারিতে।
আগামী বছরের ১১ জুন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত প্রতি আসরেই খেলেছে ব্রাজিল। যেখানেই সেলেসাওরা খেলুক, স্টেডিয়াম সবসময় ভরা থেকেছে। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে সেটা দেখা না-ও যেতে পারে। কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে টুর্নামেন্টে সমর্থকদের নিয়ে বড় ধাক্কা খেতে পারে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে ব্রাজিলীয় সমর্থকদের জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছেন। যা বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েও কার্যকর থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এরইমধ্যে ওয়াশিংটনে সফররত ব্রাজিলীয় সিনেটরদের সীমিত মেয়াদের ভিসা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যা এই জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নেইমার জুনিয়র, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়া-অ্যালিসনদের মতো তারকা খেলোয়াড়দের মাঠের লড়াই ব্রাজিলীয় সমর্থকদের সরাসরি দেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে হয়তো তাদের টিভি স্ক্রিনের মাধ্যমেই প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে হবে।
লাতিন আমেরিকার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তির দেশ ব্রাজিল। কিন্তু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার পর আর কোনো বড় শিরোপা জিততে পারেনি তারা। সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। তবুও এবার তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়ে শিরোপার আশায় বুক বেঁধেছে ব্রাজিল। তাই মাঠে গিয়ে দলকে সমর্থন জানাতে না পারলে তা হবে সমর্থকদের জন্য বড় হতাশা।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। এতে দুই দেশের সম্পর্কে আরও শীতলতা এসেছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের। এখনো পর্যন্ত ফিফা এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ফুটবল অঙ্গনে।
