ধূমপানের প্রভাব কমাতে যেসব খাবার জরুরি


সারা বিশ্বে ধূমপান এখনো একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত। এটি সরাসরি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে অ্যাজমা, ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে আশার খবর হলো, ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীর ধীরে ধীরে নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে, বিশেষ করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার মাধ্যমে।
ভারতের পালমোনোলজিস্ট সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় ধূমপান পরবর্তী ফুসফুসের যত্নে ৫টি বিশেষ খাবারের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ধূমপান ছাড়া ফুসফুস সুস্থতার প্রথম ধাপ। এরপর খাদ্যতালিকায় সঠিক খাবার যোগ করলে সুস্থতার গতি বহুগুণ বাড়ে।
পরামর্শ অনুযায়ী সেই ৫ খাবার হলো—
ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে থাকা সালফোরাফেন ফুসফুসের ডিটক্স এনজাইম সক্রিয় করে, যা সিগারেট ধোঁয়ার ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
বিট ও ডালিম: এতে থাকা উচ্চ পরিমাণ নাইট্রেট ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে, যা ধূমপায়ীদের শরীরে অক্সিজেন ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
গ্রিন টি: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং সিওপিডি ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক সতেজতায়ও কার্যকর।
আপেল ও সাইট্রাস ফল: আপেলের কোয়েরসেটিন এবং সাইট্রাস ফলের ভিটামিন সি ফুসফুসের কোষ মেরামতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হলুদ: এতে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দ্রুত মেরামতে সহায়ক।
ফুসফুস সুস্থ রাখার মূল শর্ত হলো ধূমপান ত্যাগ করা। সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ফুসফুস ধীরে ধীরে নতুন শক্তি পায়।
দৈএনকে/জে .আ
