অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধে ক্ষুব্ধ মালিকরা: ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম


অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পুনরায় চালু ও দীর্ঘ দিনের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনসহ প্রায় ২০০ জন এজেন্ট ব্যাংক মালিক অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পুনরায় চালু এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব বকেয়া বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম দেন। এসব দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সাল থেকে সারা দেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫৬৭টি পয়েন্টের মাধ্যমে ভাতা ভোগী, প্রবাসী, কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছিলেন তারা। তবে গত ২০ জুন ২০২৫ তারিখে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয় অগ্রণী ব্যাংক।
এই সিদ্ধান্তে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক, ৫ লাখ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারকারী এবং বিপুল সংখ্যক রেমিট্যান্স গ্রাহক মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একইসঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ৫৬৭ জন এজেন্ট মালিক ও তাদের অধীনে কর্মরত প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক শত কোটি টাকা।
আন্দোলনকারীরা আরও অভিযোগ করেন, গত ১৭ মাস ধরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো কমিশন বা হিসাব প্রদান না করে এজেন্টদের বকেয়া বিল আটকে রেখেছে। একজন এজেন্ট মালিক জানান, ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছি।
আন্দোলনকারীরা জানান, অগ্রণী ব্যাংকের এমন আচরণ শুধু তাদের আর্থিক ক্ষতিই ডেকে আনেনি, বরং সারাদেশে ব্যাংকিং সেবার প্রবাহে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
এসব বিষয় জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় এখন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
