রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি, কিন্তু দুইশ পেরিয়েই থামল বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১, আক্রান্ত ৬১৯ বিমানবন্দর এলাকায় আগুন: সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সরানো হচ্ছে বিমান জুয়ার বিজ্ঞাপন চললেই ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা কার্গো সেকশনে আগুন, শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি ব্যবস্থা কার্যকর শহিদ মিনার এলাকায় শিক্ষকরা, আজ কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন রাজধানীতে জুলাই সনদ সংঘর্ষে ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শহীদ ও আহত পরিবারকে অবহেলার অভিযোগ জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে ব্যর্থতার শোচনীয় রেকর্ড ভাঙতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ, অঙ্কনের অভিষেক চলমান শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া
  • প্রখ্যাত চীনা পদার্থবিজ্ঞানী চেন নিং ইয়াং মারা গেছেন

    প্রখ্যাত চীনা পদার্থবিজ্ঞানী চেন নিং ইয়াং মারা গেছেন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী চীনা পদার্থবিদ ও নোবেল বিজয়ী চেন নিং ইয়াং ১০৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। শনিবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    সিসিটিভি এক শোকবার্তায় জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে চীনের এই নোবেলজয়ী প্রয়াত হয়েছেন। চেন নিং ইয়াং ১৯৫৭ সালে তার সহকর্মী তাত্ত্বিক পদার্থবিদ লি স্যুং-ডাওর সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি নোবেল পান পদার্থের মৌলিক উপাদান ‘প্যারিটি ল’ বা সাম্য নীতির ওপর গবেষণার জন্য।

    বেইজিংয়ের খ্যাতনামা সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন ইয়াং। একই প্রতিষ্ঠানের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির সম্মানসূচক ডিনের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

    ১৯২২ সালে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে জন্ম নেওয়া ইয়াং ছিলেন পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়। তিনি বেড়ে উঠেছেন সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, যেখানে তার বাবা ছিলেন গণিতের অধ্যাপক।

    কৈশোরে ইয়াং তার বাবা-মায়ের কাছে নোবেল পুরস্কার জয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে সেই স্বপ্ন পূরণ করেন তিনি। সহকর্মী লিকে সঙ্গে নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের প্যারিটি নীতির ওপর গবেষণার কারণে ১৯৫৭ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান তারা।

    নোবেল কমিটি তাদের ‌‌গবেষণাকে ‘‘তীক্ষ্ণ অনুসন্ধান, যা পদার্থবিজ্ঞানের প্রাথমিক কণিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের পথ দেখিয়েছে’’ বলে প্রশংসা করেছিল।

    ইয়াং ১৯৪২ সালে কুনমিংয়ের ন্যাশনাল সাউথওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েটেড ইউনিভার্সিটি থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

    চীন-জাপান যুদ্ধের শেষে তিনি সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি ইতালীয় পদার্থবিদ এনরিকো ফারমির অধীনে কাজ করেন। ইতালীয় এই অধ্যাপক বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর উদ্ভাবন করেন।

    দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ কর্মজীবনে ইয়াং পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখায় কাজ করেছেন। তবে পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যা ও সাম্যনীতির ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ ছিল তার। ইয়াং ১৯৫৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন স্মারক পুরস্কার এবং ১৯৫৮ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

    ১৯৫০ সালে প্রথম স্ত্রী চি লি তুকে বিয়ে করেন ইয়াং। তাদের সংসারে তিন সন্তান ছিল। ২০০৩ সালে তুর মৃত্যুর পর ইয়াং দ্বিতীয় স্ত্রী ওয়েং ফানকে বিয়ে করেন। এই স্ত্রী তার চেয়ে বয়সে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। দু’জনের প্রথম পরিচয় হয় ১৯৯৫ সালে।

    ওই সময় ওয়েং পদার্থবিদ্যার ছাত্রী ছিলেন। ২০০৪ সালে পুনরায় দেখা হয় তাদের। সেই সময় ইয়াং বলেছিলেন, তিনি ওয়েংকে ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত শেষ আশীর্বাদ বলে মনে করেন।


    দৈএনকে/ রে.আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন