“পাকিস্তানের সেনা অভিযানে চার দিনে নিহত ১০৮ সন্ত্রাসী”


আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশ—খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে—অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ওই অভিযানে গত চার দিনে ১০৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে ৫০ জন খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলার, বাকি ৫৮ জন বেলুচিস্তানের বিভিন্ন জেলার। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান— দুই প্রদেশেই ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা আছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পাকিস্তানি তালেবানগোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ তৎপরতা চালাচ্ছে।
পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য দিন দিন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে দেশটির নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ—আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠীর মদত ও আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে টিটিপি; তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলা চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে হত্যা করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। হামলার দু’দিন পর ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের সঙ্গে লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র সংঘাত শুরু হয় পাক-আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে। সেই সংঘাতে ২ শতাধিক আফগান সেনাকে হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
চার দিন সংঘাত চলার পর ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ বলেছেন, আফগানিস্তান যদি ফের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করে, তাহলে আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণের ‘পূর্ণ অধিকার’ পাকিস্তানের থাকবে।
দৈএনকে/ রে.আ
