কেন বন্ধ হচ্ছে এমটিভির জনপ্রিয় ৫ মিউজিক চ্যানেল


চার দশকের আধিপত্য শেষে বিশ্বজুড়ে গান ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কৃতির প্রতীকী টেলিভিশন চ্যানেল এমটিভি বন্ধ হচ্ছে। ১৯৮০-এর দশকে যাত্রা করা এই জনপ্রিয় চ্যানেল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে এর মালিক প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট গ্লোবাল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর এমটিভির সর্বমোট ৫টি চ্যানেল বন্ধ করা হবে। চ্যানেলগুলো হলো ‘এমটিভি মিউজিক’, ‘এমটিভি ৮০স’, ‘এমটিভি ৯০স’, ‘ক্লাব এমটিভি’ ও ‘এমটিভি লাইভ’।
চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে মালিক সংস্থা জানিয়েছে, দর্শক অভ্যাসের বদলের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে স্পটিফাই-এর মতো ডিজিটাল মিউজিক অ্যাপ এবং ইউটিউব-এর মতো ডিজিটাল ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলোতেই মানুষ বেশিক্ষণ কাটায়। যে কারণে কমছে টেলিভিশন মিউজিক চ্যানেলের দর্শক ও আয়।
জানা গেছে, স্মৃতির অ্যালবামে এমটিভি চ্যানেল হারিয়ে গেলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করবে এমটিভি। তাই টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ছোট করে এখন থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
১৯৮১ সালে ‘আই ওয়ান্ট মাই এমটিভি’স্লোগান দিয়ে যাত্রা শুরু করেছির ‘এমটিভি’। তাই টিভি চ্যানেল থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের। ‘এমটিভি এইচডি’ নামের একটি চ্যানেল চালু রাখার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ চ্যানেলের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মদের রিয়েলিটি টিভি শো এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করার পরিকল্পনা রয়েছে এমটিভি কর্তৃপক্ষের।
নাচ- ফ্যাশন- জীবনধারার মিশেলে নতুন নতুন গান প্রকাশের মাধ্যমে সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এমটিভি চ্যানেল। এ জনপ্রিয়তার কারণে ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য এবং ১৯৯৬ সালে ভারতে এর সম্প্রচার শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, আমেরিকানভিত্তিক এমটিভি চ্যানেলগুলো চলতি বছরের শেষ দিন বন্ধ হলেও ভারতে চালু থাকবে ‘এমটিভি ইন্ডিয়া’। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা থাকলেও ‘রোডিজ’, ‘স্প্লিটসভিলা’র মতো জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো তৈরি করে চ্যানেলটি আজও ধরে রেখেছে দর্শক জনপ্রিয়তা।
দৈএনকে/জে .আ
