দেশের পর্দায় মানব বনাম AI-এর কাহিনী


ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত হলিউড সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন সিনেমা ‘ট্রন: অ্যারেস’। এটি জনপ্রিয় ‘ট্রন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি এবং ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রন: লিগ্যাসি’-এর সিক্যুয়েল। সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন জোয়াকিম রনিং।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা জ্যারেড লেটো, যিনি এবার এক রহস্যময় ও বুদ্ধিমান কৃত্রিম সত্তা ‘অ্যারেস’ চরিত্রে হাজির হয়েছেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন গ্রেটা লি, ইভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথ, হাসান মিনহাজ, গিলিয়ান অ্যান্ডারসনসহ আরও অনেকে।
‘ট্রন: অ্যারেস’-এ তুলে ধরা হয়েছে আধুনিক যুগের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন- মানবতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ। গল্পে দেখা যাবে, একটি উন্নত ‘প্রোগ্রাম’ বা এআই সত্তা অ্যারেসকে ভার্চুয়াল জগৎ ‘গ্রিড’ থেকে বাস্তব জগতে পাঠানো হয়, মানবজাতির সঙ্গে প্রথম সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে।
কিন্তু বাস্তবে এসে অ্যারেস দেখতে পায়, মানুষ তাকে ভয় পায় এবং ধ্বংস করতে চায়। শুরু হয় তার ভেতরের দোটানা-সে কি মানবজাতির পক্ষে থাকবে, নাকি নিজের প্রজাতির স্বাধীনতার জন্য লড়বে? এই দার্শনিক দ্বন্দ্ব ও নৈতিক প্রশ্নই সিনেমাটিকে আরও গভীর করে তোলে।
২০১০ সালে ‘ট্রন: লিগ্যাসি’ মুক্তির পর থেকেই নির্মাতা স্টিভেন লিসবার্গার সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালে সিদ্ধান্ত হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিকে একটি ‘সফট রিবুট’ হিসেবে এগিয়ে নেওয়া হবে। এতে যুক্ত হন জ্যারেড লেটো।
পরবর্তীতে পরিচালক পরিবর্তন, স্ক্রিপ্ট সংশোধন ও ২০২৩ সালের হলিউড রাইটার্স ধর্মঘটের কারণে বিলম্বিত হয় চিত্রায়ন। অবশেষে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভ্যাঙ্কুভারে শুরু হয় শুটিং এবং মে মাসে শেষ হয় প্রযোজনার কাজ।
১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ‘ট্রন’ সিনেমার পর থেকেই এই সিরিজটি প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ‘ট্রন: অ্যারেস’ সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে আরও গভীরভাবে। ডিজনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আধুনিক দর্শকদের জন্য নতুনভাবে রিবুট করতে চায়, যেখানে গল্পের মূলে থাকবে প্রযুক্তির নৈতিকতা, মানবতার দায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ।
দৈএনকে/জে .আ
