আমার হাসব্যান্ড মারা গেছে এতে দুঃখ নাই, আমরা স্বৈরাচারের বিচার চাই


‘স্ত্রী-সন্তানের মায়া ত্যাগ করে আমার হাসব্যান্ড আন্দোলনে গিয়েছিল। ফ্যাসিস্টের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি শহীদ হয়েছেন। আমার হাসব্যান্ড মারা গেছে এতে আমার দুঃখ নাই। আমরা স্বৈরাচারের বিচার চাই। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমরা শহীদ পরিবারের সদস্যরা কারো থেকে কোনো অনুদান চাই না। আপনারা তাদের পর্যাপ্ত সম্মানটুকু দিবেন এটাই চাওয়া।’ আবেগ আপ্লুত হয়ে ঠিক এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শহীদ হওয়া সবুজ হোসেন স্ত্রী রেশমা খাতুন।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর একটায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে ১৭টি শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আটক হওয়া ৩১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
তাছাড়াও অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া আন্দোলকারী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
