রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ জলবায়ুর চ্যালেঞ্জে নারীর বিকল্প আয়ের পথ পরিবারকে দিচ্ছে নিরাপত্তা গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সময় লাগছে: ডা. জাহিদ প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা হতাশাজনক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রাজিলিয়ানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জমে উঠল ঢাকার স্টেডিয়াম আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের গ্রুপ প্রতিপক্ষ ঘোষণা : বিশ্বকাপ ২০২৬ ৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আদ্দিস আবাবায় নতুন ই-পাসপোর্ট সুবিধা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: মোদী
  • আফ্রিকায় ইবোলার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

    আফ্রিকায় ইবোলার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আফ্রিকার শিং নামে পরিচিত ইথিওপিয়ায় হানা দিয়েছে ইবোলার সমগোত্রের মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাস মারবার্গ।

    দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে নয়জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকারিভাবে এ প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসটি ইবোলার চেয়েও বেশি ভয়ংকর ও প্রাণঘাতী, যা আফ্রিকা জুড়ে গভীর আশঙ্কা তৈরি করেছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেসাস শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দ্রুত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে ইথিওপিয়া প্রমাণ করেছে, তারা যত দ্রুত সম্ভব প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে বদ্ধপরিকর।”

    এর আগে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল যে ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সন্দেহজনক ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের খবর পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে।

    মারবার্গ ভাইরাস হলো ইবোলার একই গোত্রের। এটিকে ইবোলার চেয়েও গুরুতর বলে বর্ণনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এটিকে একটি বিরল কিন্তু মারাত্মক হেমোরেজিক জ্বর হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। মিশরের ফলখেকো বাদুড় থেকে উদ্ভূত এই ভাইরাসটি সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের তরল বা সেই তরল দ্বারা দূষিত বস্তুর সংস্পর্শে এলে ছড়াতে পারে।

    এই ভাইরাসটির উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ফুসকুড়ি এবং মারাত্মক রক্তপাত। তবে সিডিসি জানিয়েছে, মারবার্গের কোনো চিকিৎসা বা টিকা নেই। চিকিৎসা কেবল বিশ্রাম ও হাইড্রেশনের মতো সহায়ক যত্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

    ইথিওপিয়ার ওমো অঞ্চলে এই প্রাদুর্ভাব হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এলাকাটি দক্ষিণ সুদানের খুব কাছে। আফ্রিকা সিডিসি’র মহাপরিচালক জ্যাঁ কাসেয়া বলেন, দক্ষিণ সুদান খুব দূরে নয় এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল। তাই সীমান্ত এলাকায় ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সংস্থাটি প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সংক্রমিতদের চিকিৎসা দিতে সক্রিয়ভাবে ইথিওপিয়াকে সহায়তা করছে এবং সীমান্ত পেরিয়ে বিস্তার রোধের সম্ভাবনা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। 

    ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং সম্ভাব্য সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তারা জনগণকে আতঙ্কিত না হতে এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন