দ্য হান্ড্রেডে রশিদ খানের বিপর্যয়


রশিদ খানের জন্য এমন রাত নিশ্চয়ই ভুলে যাওয়ার মতো। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের খেতাব ধরে রেখেছেন তিনি। এই আফগান লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে অনেকই হেরে যান, এমনকি অভিজ্ঞ ব্যাটাররাও। তবে সাম্প্রতিক আইপিএল মৌসুমটা তার জন্য হতাশাজনক কাটেছে। ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেডে টানা দুই ম্যাচে দারুণ বোলিং দেখালেও গতরাতে তিনি বাজে বোলিংয়ে অপ্রত্যাশিত রেকর্ড তৈরি করেছেন ২৬ বছর বয়সী এই স্পিনার।
দ্য হান্ড্রেডের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রশিদ খান। ওভাল ইনভিন্সিবলেসের হয়ে বোলিং করতে এসে ৪ ওভারে (৫ বলে ওভার) ৫৯ রান খরচ করেও কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসেই আর কোনো বোলার এতো রান খরচ করেননি।
বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের বিপক্ষে ম্যাচটা ৪ রানে হেরেছে ওভাল ইনভিন্সিবলেস। যে হারের দায় অনেকটাই রশিদের কাঁধেই বর্তায়। আগে ব্যাট করা ওভাল নির্ধারিত ১০০ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে। ডনোভান ফেরেইরা ২৯ বলে ৬৩ এবং জর্ডান কক্স ৩০ বলে ৪৪ রান করেন।
জবাবে ২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বার্মিংহ্যাম। ফিনিক্সের জয়ে বড় অবদান উইল স্মিড ও লিয়াম লিভিংস্টোন। স্মিড ২৯ বলে ৫১ এবং লিভিংস্টোন ২৭ বলে ৬৯ রান করেন।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পথে লিভিংস্টোন রশিদের ওপরেই বেশি চড়াও হয়েছিলেন। রশিদের স্লোয়ার এবং কিছুটা অফ লেন্থের বলগুলো কাজে লাগিয়ে ঝড় তোলেন তিনি। টানা পাঁচ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ রান নেন লিভিংস্টোন। পুরো মাচে লিভিংস্টোন হাঁকিয়েছেন ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা।
এটি শুধু দ্য হান্ড্রেডেরই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড নয়, বরং রশিদের ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বটে।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয় রশিদকে। এরপর থেকেই আর নিজের চেনা চেহারায় ফিরতে পারেননি আইপিএল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিস্মরণযোগ্য পারফরম্যান্স করেন। এমন অফফর্মের জন্য রশিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকেই দায়ী করা হচ্ছে।
এদিন লিভিংস্টোন দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন রশিদের বিপক্ষে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রশিদের বিপক্ষে ২০০ রান পূর্ণ করেছেন তিনি। অন্য কোনো ব্যাটারের এই আফগান স্পিনারের বিপক্ষে ১৫০ রানও নেই।
দৈএনকে/ জে .আ
