দুই মাসে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার ৪৩৮ জন


দেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে ৪৩৮ জন নারী ও কন্যাশিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫১ জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন সংক্রান্ত জুলাই মাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটি মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা
জুলাই মাসে ৫১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন—এর মধ্যে ৩২ জন কন্যা এবং ১৯ জন নারী। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১ জন—যার মধ্যে ৪ জন কন্যা ও ৭ জন নারী। ধর্ষণের পর ১ জন কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৮ জন কন্যা ও ২ জন নারীর ওপর।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৫ জন—এর মধ্যে ৯ জন কন্যা ও ৬ জন নারী।
এসিড ও অগ্নিদগ্ধ
এসিড ও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন ৭ জন নারী। এর মধ্যে ৩ জন এসিডে দগ্ধ এবং ১ জন নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
আত্মহত্যা ও হত্যা
আত্মহত্যা করেছেন ১৭ জন—এর মধ্যে ৩ জন কন্যা ও ১৪ জন নারী।
জুলাই মাসে মোট ৭৮ জন নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছেন—এর মধ্যে ১০ জন কন্যা ও ৫৬ জন নারী। হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে ১ জন নারীর ওপর, এবং ১১ জনের (৫ কন্যা ও ৬ নারী) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
অন্যান্য নির্যাতন
-
যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছেন ৩ জন নারী
-
পারিবারিক সহিংসতার শিকার ৬ জন (২ কন্যা, ৪ নারী)
-
গৃহকর্মী নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন (২ কন্যা, ১ নারী)
-
অপহরণের শিকার ১০ জন (৮ কন্যা, ২ নারী)
-
মানবপাচারের শিকার ১০ জন নারী
-
বাল্যবিয়ের শিকার হওয়ার চেষ্টা: ২ জন কন্যা
-
শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৩ জন নারী
-
বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার আরও ৬ জন নারী
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এন কে/বিএইচ
