সোনারগাঁ খালেক আঞ্জুমান বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ


গুণগত শিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি, শতভাগ সাফল্য—মঞ্চে প্রতিভা, মাঠে সাহস—উৎসবে ভাসলো সোনারগাঁ খালেক আঞ্জুমান বিদ্যালয়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খালেক আঞ্জুমান বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী।
শনিবার (২ আগস্ট) মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস বালুর মাঠ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী আয়োজিত এই জমজমাট অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দ একবাক্যে প্রশংসা করেন বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ও নৈতিক শিক্ষার মান নিয়ে। তাঁরা বলেন, খালেক আঞ্জুমান বিদ্যালয় সত্যিই একটি আলোকিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের জীবনের পাঠে সাফল্য এনে দিতে সক্ষম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেবক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো. আশরাফ উদ্দিন। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষাবিষয়ক নানা বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।
তিনি “সিকা শিক্ষাবৃত্তি” প্রকল্পে নির্বাচিত কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ও সনদপত্র তুলে দেন। বিদ্যালয়টির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত রাস্তা না থাকায় যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তা তিনি স্বয়ং উপলব্ধি করেছেন। সে বিষয়ে তিনি নিজ দায়িত্বে একটি মানসম্পন্ন ও চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান অতিথির ঘোষণা অনুযায়ী: প্রতিবছর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অনুদান প্রদান করা হবে। শর্তসাপেক্ষে প্রতিবছর ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, আর এই প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। শুধুমাত্র নেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নয়—মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. গোলাম রাব্বানী, পরিচালক, ই. হক কোচিং সেন্টার, সোনারগাঁ শাখা। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, নজরুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, খোকন, নাজিম উদ্দিন, মাসুদসহ এসএসসি ’৯৪ ব্যাচের বহু বন্ধু।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন: বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও পরিচালক কামাল মোল্লা। তিনি বলেন, “এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বের গুণ এবং সামাজিক দক্ষতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়—সুশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়- আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, নাট্য পরিবেশনা। এসব পরিবেশনায় অভিভাবক ও অতিথিরা বিমুগ্ধ হন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জন শিক্ষার্থীর হাতে সার্টিফিকেট ও পদক তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজনে সহযোগিতা করে: বিদ্যালয়ের প্রধান শাখা (EIIN: ৩১১০৩০৭০৬), মাধ্যমিক শাখা (EIIN: ০১৩০৯),
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ সাফল্যের মাধ্যমে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছে।
এন কে/বিএইচ/আমির
