কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক কুতুব শাহ মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা লুট


কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত ১৬শ শতকে সুলতানি আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক কুতুব শাহ মসজিদের দানবাক্স ভেঙে অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সময় বিষয়টি নজরে আসে বলে জানিয়েছেন কুতুব শাহ মসজিদের ইমাম জালাল উদ্দিন। এর আগে দিবাগত রাতে ঐতিহাসিক কুতুব শাহ মসজিদের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট আকর্ষণীয় এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী এখানে ছুটে আসেন। ১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর মসজিদটিকে সংরক্ষিত হিসেবে নথিভুক্ত করে। অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতে হযরত শাহ জালাল (র.) বাংলাদেশে আসেন এবং সিলেট জয় করেন। পরে তাঁর সহচর হযরত কুতুব শাহ (র.) অষ্টগ্রামে আগমন করে মসজিদটি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তাঁর নামানুসারেই কুতুব শাহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে মনে করা হয়। মসজিদটির পাশেই একটি কবর রয়েছে, যা কুতুব শাহ (র.) এর বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
মসজিদ কমিটির সদস্য ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা লুটে নেয়ার ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। ইদানীং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চুরি-রাহাজানি অনেক বেড়ে গেছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আরো তৎপর হওয়া উচিত।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন দৈনিক নতুন কাগজকে জানান, এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইমাম জালাল উদ্দিন কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তকে আটক করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
কুতুব শাহ মসজিদের সভাপতি ও অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান দৈনিক নতুন কাগজকে জানান, প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্স খুলে টাকা গণনা করা হয়। প্রতিবার গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
