রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ জলবায়ুর চ্যালেঞ্জে নারীর বিকল্প আয়ের পথ পরিবারকে দিচ্ছে নিরাপত্তা গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সময় লাগছে: ডা. জাহিদ প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা হতাশাজনক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রাজিলিয়ানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জমে উঠল ঢাকার স্টেডিয়াম আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের গ্রুপ প্রতিপক্ষ ঘোষণা : বিশ্বকাপ ২০২৬ ৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আদ্দিস আবাবায় নতুন ই-পাসপোর্ট সুবিধা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: মোদী
  • ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ, ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ

    ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ, ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ইহুদি ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে হেবরনের পুরোনো শহরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ জারি করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন এ তথ্য জানায়।

    স্থানীয় কর্মীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল থেকেই পুরোনো শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী শহরে প্রবেশের সামরিক চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

    হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য আরেফ জাবের জানান, কারফিউয়ের কারণে বহু ফিলিস্তিনি নিজ ঘরে ফিরতে পারেননি এবং স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকাল— দুই পর্যায়ে শত শত অবৈধ বসতকারী ভারী নিরাপত্তার মধ্যে পুরোনো শহরে প্রবেশ করে রাস্তায় উসকানিমূলক শোভাযাত্রা করেছে।

    জাবের আরও বলেন, ইব্রাহিমি মসজিদের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নেওয়া এবং সেটিকে সিনাগগে রূপান্তরের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    ফিলিস্তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ইসরায়েল প্রতিদিন মসজিদের সুক গেট ও পূর্ব দিকের প্রধান গেট বন্ধ রাখছে। এমনকি মসজিদের জানালাও ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

    ইব্রাহিমি মসজিদ বর্তমানে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে। এখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতকারী বসবাস করে এবং তাদের নিরাপত্তায় রয়েছে ১,৫০০ ইসরায়েলি সেনা। ১৯৯৪ সালে এক ইহুদি বসতকারীর গুলিতে ২৯ মুসল্লি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটিকে দুই ভাগে ভাগ করে— ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের, ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য।

    নিয়ম অনুযায়ী ইহুদি ধর্মীয় উৎসবের সময় বছরে ১০ দিন মসজিদটি মুসলিমদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ থাকে এবং ইসলামি উৎসবের সময় ১০ দিন ইহুদিদের জন্য বন্ধ থাকে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ায় মুসলিমদের নির্ধারিত প্রবেশাধিকার আর আগের মতো বহাল রাখা হয়নি।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন