ডেঙ্গু জ্বরের প্রাণঘাতি সংকেত: কোন উপসর্গে ডাকবেন চিকিৎসক


চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এর মধ্যে এমন কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যা ডেঙ্গুর প্রচলিত উপসর্গের সঙ্গে মেলে না। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অচেনা উপসর্গের কারণে রোগীরা ডেঙ্গু হয়েছে বুঝতে পারেন না এবং হাসপাতালে আসতে দেরি করেন। শেষমুহূর্তে হাসপাতালে আসলেও অনেক সময় চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয় না, যার ফলে অনেকেই প্রাণ হারান।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর ৮ হাজার ৭৫৭ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন। এদের ৮০ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে ১৪ শতাংশ ৪-১০ দিনের মধ্যে এবং ৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ১১-৩০ দিনের মধ্যে। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে যাওয়াটাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর একটি বড় কারণ।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুর যে নতুন উপসর্গ, এগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষ পরিচিত নন। তারা এই উপসর্গ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত নন। একে বলা হচ্ছে— কমপ্লিকেটেড ডেঙ্গু সিনড্রোম বা এক্সটেনডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম। এ উপসর্গগুলো কোনোভাবেই অবহেলা করার সুযোগ নেই। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তারা যখন হাসপাতালে পৌঁছাচ্ছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। এবার এ ধরনের উপসর্গ নিয়েও রোগীরা হাসপাতালে যাচ্ছেন। তবে এদের সংখ্যা কম।
এ পরিচালক বলেন, এবার হাসপাতালে যারা ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা বেশি। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডেঙ্গু মৌসুম চলতে থাকার কারণে, বর্তমান সময়ে যে কারও শরীরে অস্বাভাবিক কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত।
মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান বলেন, তারা হয়তো আগে একটি ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন তারা হয়তো অন্য একটি ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। ফলে যে উপসর্গগুলো নিয়ে তারা আসছেন, সেগুলো প্রথাগত ডেঙ্গু উপসর্গের মতো নয়।
রে, আ
