শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি: শ্রেণি কক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে এবি পার্টি নির্বাচন সূচনায়, ১০৯ আসনের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত আর্জেন্টিনা দলের গর্বিত স্পন্সর হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ওয়ালটন হতাশা ভুলে নতুন উদ্দীপনায় ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বললেন, শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ স্কোয়াডে নতুন সম্ভাবনার সন্ধান ঢাকায় গ্রেপ্তার ওবায়দুল কাদেরের ভাই শাহাদাত কাদের ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে নির্বাচনি প্রচারণায় ইসির ৭ নির্দেশনা আজ ‘মার্চ টু যমুনা’: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি
  • ডেঙ্গু মহামারী: চলতি বছরে মৃত্যু সংখ্যা ২২০

    ডেঙ্গু মহামারী: চলতি বছরে মৃত্যু সংখ্যা ২২০
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    চলতি বছরে ডেঙ্গুতে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম।

    বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

    এ টি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি এবং মৃত্যুবরণ করেছিল এক হাজার ৭৫০ জনের মতো। ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছরে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৫ হাজারের মতো, মৃত্যু হয় ৫২০ জনের।

    তিনি বলেন, এবার আমরা ক্যালেন্ডার বছরের শেষপর্যায়ে পৌঁছেছি। গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ২২০ জন। ক্রমান্বয়ে ডেঙ্গু যে প্রতিরোধের বিষয়টা, সেটি আমরা নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার দিকে এগোচ্ছি। সামনে একজনও মৃত্যুবরণ করবে না, আমরা সেদিকে এগোচ্ছি। তারপরও যতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।

    এ সময় ডেঙ্গু সংক্রমণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এবার গতবারের চেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার কম হচ্ছে।

    তিনি বলেন, আমরা যে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পরিসংখ্যান এবং হাসপাতাল থেকে যে মৃত্যুর যে তথ্য পাচ্ছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথমদিনই বেশিরভাগ রোগী ৫০ শতাংশের বেশি মারা যাচ্ছে। তার মানে রোগের যে আক্রমণ হয়েছে, এটা অনেক আগে। রোগীরা হাসপাতালে পরে এসেছে। আমরা হাসপাতলে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছি।

    তিনি আরও বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বড় বিষয়, সেটা হলো জনগণের সচেতনতা। যেহেতু মশা উৎপন্ন হওয়ার বিষয় আছে, সেজন্য মশা ধ্বংসেরও বিষয় আছে। তাদের লার্ভা ধ্বংস করার বিষয় আছে। লোকজন যেন প্রোটেকটেড থাকে সেজন্য মশারি টাঙানো। এগুলো খুবই জরুরি। এগুলো হচ্ছে মূলত ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিষয়। এগুলো যদি আমরা অবজ্ঞা করি তবে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।

    আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু হলেও আমরা প্রথম পর্যায়ে যদি শনাক্ত করতে পারি ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাসায় বসেই হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সিভিআর পর্যায়ে না গেলে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। এর সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং সচেতনতার অভাব ও অবহেলার কারণে আমাদের মূলত ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেড়ে যাচ্ছে।

    সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


    দৈএনকে/জে .আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন