ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিং কৌশল নয়, ধারণা মাত্র: ফাহিম


পাওয়ার হিটিং কৌশলটি অনেকের জন্য এখনও স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে হোম অব ক্রিকেটে গোপন অনুশীলনের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ করানো সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের কৌতূহল আরও বৃদ্ধি করেছে। এশিয়া কাপের আগে এক মাসব্যাপী এই কোচিং এবং পাওয়ার হিটিং কোচের নিয়োগ নিয়েও ক্রিকেট বিশ্লেষক ও অনুরাগীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
অনেকেই বলছেন, হেড কোচ, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে আরও একজন পাওয়ার হিটিং কোচের সংযোজন কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে? এ স্বল্প সময়ে ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিং দক্ষতা কতটা বাড়বে?
এ কোচিংয়ের কি আদৌ কোনো ইতিবাচক প্রভাব আছে? আর যদি থেকেই থাকে, তাহলে কেন এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের আগে এক মাসের জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আসা? কেনই বা আরও আগে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং কোচদের সঙ্গে একজন পাওয়ার হিটিং কোচকে নিয়োগ দেওয়া হলো না?
বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা কমিটি (ক্রিকেট অপারেশনস) প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জাগো নিউজের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের যথার্থতা আছে বেশ। আর এই ধরনের কোচ সব দেশে অল্প সময়ের জন্যই আসেন। কোনো দেশেই দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দেওয়া হয় না।
ফাহিম বলেন, ‘আসলে পাওয়ার হিটিং হচ্ছে একটা কনসেপ্ট (ধারণাগত বিষয়)। এটা প্রথাগত ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের স্পেশালিস্ট কোচিংয়ের মতো নয়। এ কারণেই ক্রিকেটারদের আগে স্থানীয় কোচদেরও পাওয়ার হিটিং কনসেপ্ট সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তাদেরও ধারণা দেওয়া হয়েছে।’
ফাহিম যোগ করেন, ‘মূলত, ব্যাটার ও বোলার সবার পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য বাড়ানোই স্বল্প মেয়াদী ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্য। আর পৃথিবীর সব দেশেই এই পাওয়ার হিটিং কোচিংটা স্বল্প মেয়াদেই হয়। এটা কোনো ট্যাকটিক্যাল (কৌশলগত) ব্যাপার নয়। তাই পাওয়ার হিটিংয়ে দীর্ঘমেয়াদী কোচের দরকার তেমন নেই।’
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, ‘এটা ট্যাকটিক্যাল বিষয় নয় বলেই সবার জানা দরকার। আমাদের দেশে দেখা যায় ২/৩ জন পাওয়ার হিটার থাকেন। সেটা মোটেই যথেষ্ট নয়। সবাইকে হিট করতে জানতে হবে। কারণ পাওয়ার হিটিং একটা কনসেপ্ট।’
তবে ফাহিম স্বীকার করেন, শুধু জাতীয় দলের জন্য নয়, বয়সভিত্তিক দল; বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯, এইচপি ও ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদেরও এই পাওয়ার হিটিং কনসেপ্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া খুব দরকার।
আগামীতে জাতীয় দলের পাশাপাশি যুব দল, হাই পারফরম্যান্স ইউনিট ও ‘এ’ দলের জন্যও পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগে প্রতিশ্রুতি মিলেছে ফাহিমের কণ্ঠে।
ক্রিকেট অপসের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামীতে জাতীয় দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯, এইচপি আর ‘এ’ দলের জন্যও পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের চেষ্টা করবো।’
