হার্ট সার্জারিতে ঝুঁকি কমানোর আধুনিক কৌশল


বছর ধরেই হৃদরোগীদের জন্য ওপেন-হার্ট সার্জারি ছিল জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ সমাধান। তবে আধুনিক প্রযুক্তি এখন সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দিমিত্রি ইয়ারানোভ সম্প্রতি জানিয়েছেন, “হার্টের ফুটো বা ভালভ ঠিক করতে এখন আর অপারেশন থিয়েটারে যেতে হয় না। শিরার মাধ্যমে এক ছোট্ট ক্লিপ বসিয়ে রোগীর জীবন বদলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।”
ড. ইয়ারানোভ ব্যাখ্যা বলেন, হৃদপিণ্ডের 'মাইট্রাল ও ট্রাইকাস্পিড'ক্লিপকে বলা হয় ‘ইনলেট ভালভ’। যা রক্তকে সঠিক দিকে প্রবাহিত রাখতে অবিরাম কাজ করে। কিন্তু যখন এই ভালভগুলো রিগার্জিটেশন অথবা লিক বা ফুটো হয় যা তখন রক্ত পিছনের দিকে প্রবাহিত হয়। এর ফলে হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে হার্ট ফেইলিওরের দিকে এগোতে থাকে। আগে এই সমস্যা সমাধানের জন্য ওপেন-হার্ট সার্জারি করতে হত, যা সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে বয়স, শারীরিক অবস্থা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে অনেক রোগী এই অস্ত্রোপচারের যোগ্যই হতেন না।
আধুনিক কার্ডিওভাসকুলার প্রযুক্তি এনেছে ন্যূনতম আক্রমণাত্মক পদ্ধতি। যা নিয়ে ড. ইয়ারানোভ বলেন, “এখন আর ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস মেশিন লাগাতে হয় না। শুধু পায়ের শিরা দিয়ে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে ভালভের জায়গায় একটি ছোট ক্লিপ বসিয়ে দেওয়া হয়। এটি সম্পন্ন হওয়ার পর রোগী পরের দিনই বাসায় ফিরে যেতে পারবেন। পাশাপাশি হার্ট ফেইলিওরের হার কমাতেও ব্যাপক ফল পাচ্ছে।
ওপেন-হার্ট সার্জারিতে বুকে বড় ছেদ কেটে হার্টে পৌঁছাতে হয় এবং প্রায়ই হার্ট-লাং বাইপাস মেশিন ব্যবহার করা হয়। করোনারি ধমনী রোগ, ত্রুটিপূর্ণ ভালভ বা জন্মগত হৃদরোগের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ।
নতুন এই পদ্ধতির কারণে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং জটিলতার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই অগ্রগতি শুধু চিকিৎসকদের হাত শক্ত করছে না, রোগীদের জীবনমানও বদলে দিচ্ছে।
দৈএনকে/ জে .আ
