রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • মীর নেওয়াজ আলী: তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে ভাটারায় নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাঙ্ক থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার পূজার ছুটির কারণে পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি, শুরু হবে ১২ অক্টোবর চালের দাম গত বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি: টিসিবি রাশিয়ার কারখানায় বিস্ফোরণ: ১১ নিহত, ১৩০ আহত উপদেষ্টাদের নামে অভিযোগ শেখ হাসিনার দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি: রিজভী খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলীর উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা দেশ সবার, সবাই শান্তিতে বসবাস করবে: সেনাপ্রধান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত চাল আমদানিতে ভারতের বাজারে ১৪% মূল্য বৃদ্ধি
  • উত্তর পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১

    উত্তর পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    উত্তর পাকিস্তানে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২১ জনে। গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৩২১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু। এছাড়া কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন।

    জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯ জন এবং গিলগিত-বালতিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটি সরকারি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

    প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৩০৭ জন মারা গেছেন। তাদের অধিকাংশই আকস্মিক বন্যা ও বাড়িঘর ধসে প্রাণ হারিয়েছেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রায় দুই হাজার উদ্ধারকর্মী ৯টি জেলায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন বলে প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে। কিন্তু এখনো বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

    উদ্ধার সংস্থার মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফয়েজি বলেন, ত্রাণ সরবরাহ অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে। ভারি বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিবহন করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ জায়গায় সড়ক বন্ধ থাকায় উদ্ধারকর্মীরা হেঁটে দুর্গম এলাকায় পৌঁছচ্ছেন। জীবিতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টার করলেও অনেকেই যেতে চাইছেন না। তাদের স্বজনরা এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন।

    খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি পাহাড়ি জেলা— বুনের, বাজউর, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরা ও বাত্তাগ্রামকে দুর্যোগাক্রান্ত এলাকা ঘোষণা করেছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে আরো ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। এ  ছাড়া জনগণকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রতিনিধি সৈয়দ মুহাম্মদ তায়্যব শাহ বলেন, ‘এ বছরের বর্ষা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আগে শুরু হয়েছে এবং দেরিতে শেষ হবে। আগামী ১৫ দিনে বর্ষার তীব্রতা আরো বেড়ে যাবে।’
     
    বুনের জেলার বাসিন্দা আজিজুল্লাহ এএফপিকে বলেন, ‘আমি হঠাৎ পাহাড় ধসে পড়ার মতো শব্দ শুনলাম। বাইরে গিয়ে দেখি পুরো এলাকা কাঁপছে। মনে হচ্ছিল পৃথিবীর শেষ দিন এসে গেছে। পানি এত জোরে প্রবাহিত হচ্ছিল যে মাটি কেঁপে উঠছিল। তখন মনে হচ্ছিল মৃত্যুই সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’

    উল্লেখ্য, চলতি বর্ষায় জুন থেকে পাকিস্তানজুড়ে এখন পর্যন্ত ৬০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। জুলাই মাসে পাঞ্জাব প্রদেশে গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    সূত্র : এএফপি।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন