রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • মীর নেওয়াজ আলী: তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে ভাটারায় নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাঙ্ক থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার পূজার ছুটির কারণে পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি, শুরু হবে ১২ অক্টোবর চালের দাম গত বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি: টিসিবি রাশিয়ার কারখানায় বিস্ফোরণ: ১১ নিহত, ১৩০ আহত উপদেষ্টাদের নামে অভিযোগ শেখ হাসিনার দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি: রিজভী খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলীর উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা দেশ সবার, সবাই শান্তিতে বসবাস করবে: সেনাপ্রধান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত চাল আমদানিতে ভারতের বাজারে ১৪% মূল্য বৃদ্ধি
  • পূজার ছুটির কারণে পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি, শুরু হবে ১২ অক্টোবর

    পূজার ছুটির কারণে পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি, শুরু হবে ১২ অক্টোবর
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    দেশজুড়ে শিশু-কিশোরদের জন্য নির্ধারিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি এক মাসেরও বেশি সময় পিছিয়ে গেছে। পূর্ববর্তী পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে টিকাদান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা যায়নি, ফলে নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

    শনিবার (১৬ আগস্ট) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠে না থাকলে ক্যাম্পেইন পরিচালনা সম্ভব নয়। তাদের আন্দোলনের কারণে সময়মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যায়নি। তাই টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং রোববার (১৭ আগস্ট) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি ইস্যু করা হবে।

    নতুন সময়সূচি অনুযায়ী মোট ১৮ কর্মদিবস টিকা কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে প্রথম ১০ কর্মদিবস বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী আট কর্মদিবস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত বা স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে টিকাদান কেন্দ্রে। নিবন্ধন ও কার্ড দেওয়ার নিয়ম আগের মতোই বহাল থাকবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়েও অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।

    সরকারি হিসাবে, ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর এ টিকা পাবে। এক ডোজ ইনজেকটেবল এই টিকা শিশুদের তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় টিকাগুলো দেশে আনা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ক্যাম্পেইন শুরু না হলে অনেক শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঢাকার গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, শিশুদের মধ্যে প্রতি লাখে এক হাজারেরও বেশি টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার হার রয়েছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ হারের অন্যতম। তাই নির্ধারিত সময়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।

    প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি, বেতনস্কেল উন্নয়ন ও চাকরির স্থায়িত্ব নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে মাঠপর্যায়ে সরকারি টিকাদান কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সঙ্গে সমঝোতায় আসা ছাড়া জাতীয় পর্যায়ের বড় ধরনের ক্যাম্পেইন সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর, যা দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায়। এর উপসর্গ প্রাথমিকভাবে অস্পষ্ট থাকায় শিশুদের মধ্যে রোগটি দ্রুত জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকা কর্মসূচি বিলম্বিত হলেও নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে শিশুস্বাস্থ্যের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন