কোলেস্টেরল কমলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে


শরীরে শুধু খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমালেই হবে না, ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে তুলতে হবে। এই একটি রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে আরও হাজার রোগ। সে কারণে হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে সব কোলেস্টেরল খারাপ নয়, শরীরে বেশ কিছু উপকারী কোলেস্টেরলও থাকে।
হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে ভালো। এইচডিএল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখে। সে জন্য খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন কোন পরিবর্তনগুলো আনলে রক্তে এইচডিএলের মাত্রা বাড়বে এবং সামগ্রিকভাবে শরীর সুস্থ থাকবে, তা জানা জরুরি।
কোন পরিবর্তনগুলো আনলে রক্তে এইচডিএলের মাত্রা বাড়বে এবং সুস্থ থাকবেন জেনে নিই—
আপনার শরীরে এইচডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রথমেই ধূমপান ছাড়তে হবে। আর ধূমপান করলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আর ধূমপানের অভ্যাসে আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। সে কারণে ধূমপানের পাশাপাশি রাশ টানতে হবে মদপানের অভ্যাসেও।
শরীরে এইচডিএলের মাত্রা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমন্ড, আখরোট, তিসি, চিয়া বীজ, ফ্যাটযুক্ত মাছ, সর্ষের তেল, জলপাই, অ্যাভোকাডো ও সিম অবশ্যই রাখুন। বেগনি রঙের সবজি খেলেও উপকার পাবেন। বেগুন, বেগনি বাঁধাকপিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, এ উপাদানটি রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া আপনার খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি খেলে শরীরে ক্যালোরির মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যায়। পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। কারণ শরীরের আনাচ-কানাচে মেদ জমলেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তাই ট্র্যান্স ফ্যাট আছে এমন খাবার, যেমন— চিপস, নরম পানীয়, ভাজাপোড়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
আবার ফিট থাকতে ও শরীরে এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে অ্যারোবিক ব্যায়াম, ভারি শরীরচর্চা দারুণ ভীষণ কার্যকর। বয়স বাড়লে ভারি শরীরচর্চা করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলেও উপকার পেতে পারেন। রোজ অন্তত ৩০ মিনিট একটু দ্রুতগতিতে হাঁটলেও শরীরে এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। সাঁতার কাটলেও উপকার পাওয়া যায়।
