চালের দাম গত বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি: টিসিবি


চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে দাম উর্ধ্বমুখী অবস্থায় স্থির রয়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি সময়ে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্য সচিব বলছেন, চালের সংকট নেই, তবে বাজারে ঝড়-বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব রয়েছে। এছাড়া, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে, শুল্ক জটিলতায় আমদানি করা চাল আটকে রয়েছে হিলি স্থলবন্দরে।
মোটা চালের কেজি ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সরু চালের দাম ৮০ টাকার ওপরে। কিছু ব্র্যান্ডের চাল প্রায় ১০০ টাকা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘আয় করি মনে করেন, ১০ হাজার টাকা, খরচ আরও বেশি। এই টাকা পাব কোথায়?’
একজন খুচরা চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘মিল মালিকরা বলছে যে ধান নেই। কিন্তু ধান তো আছে। যখন দাম বাড়ে তখন তারা পণ্যটা বাজারে ছাড়ে। ক্রাইসিস দেখে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছে।’
এদিকে, হিলি স্থলবন্দরে গত দুইদিন ধরে আটকে আছে ভারত থেকে আসা চাল। আমদানি শুল্ক কমানো হলেও কাস্টমস সার্ভারে আপডেট না হওয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে।
চাল আমদানিকারক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুল্ক কমানোর বিষয়টা যে সার্ভারে দিবে, এটা না দেওয়ার কারণে পণ্য খালাস হচ্ছে না। এ কারণে পণ্যগুলো বাজারজাত করা যাচ্ছে না।’
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য বৈরী আবহাওয়া ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান। তিনি জানান, গত ১০ আগস্ট থেকে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। শুরু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও। যেখানে ৫৫ লাখ পরিবার ছয় মাস ধরে ১৫ টাকা কেজিদরে চাল কিনতে পারবে।
মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনে ডিসরাপশনের কারণে দামটা বাড়ে। এখানে আমাদের মিলার ও ব্যবসায়ীদেরও একটা যোগসাজশ থাকে। এটা মোকাবিলা করার জন্য ৫৫ লাখ পরিবারকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে আমরা চাল দেবো।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সরকারি গুদামে চালের মজুদ আছে ২০ লাখ টন। এর বেশিরভাগই সরবরাহ হবে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে।
