বাগদান সত্ত্বেও বিবাহে বাঁধা, মানসিক চিকিৎসায় ফারিয়া


ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়া বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। গ্ল্যামার, মেধা ও স্মার্টনেসের সংমিশ্রণে তিনি চিত্রপটের শীর্ষে পৌঁছেছেন। শুধু অভিনয় নয়, গানেও তার পারদর্শিতা প্রশংসনীয়।
২০২০ সালের মার্চে রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হয় নুসরাত ফারিয়ার। কথা ছিল, ওই বছরের ডিসেম্বর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করবেন তারা। তবে বাগদান হলেও পরে আর বিয়ে হয়নি। বাগদানের বছর তিন পর বিচ্ছেদ ঘটে রনি-নুসরাতের।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী। তিনি জানান, প্রায় চার বছর ধরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চাইছিলেন। কিন্তু পারেননি।
ফারিয়ার কথায়, কীভাবে বলব সেটা বুঝতে পারছিলাম না। চার বছর সময় লেগেছিল বলতে। যদিও রনি জানতে চেয়েছিল একসঙ্গে থাকতে চাই কি না। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। আমি থাকতে চাইনি।
বাগদান ভাঙা তার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলোর একটি উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, মা-বাবা আর রনি— এই ছিল আমার পৃথিবী। ওঁকে (রনি রিয়াদ রশিদ) ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে আমাদের সম্পর্ক। পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে থাকা এসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। রনির সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটা বড় বিষয় ছিল।
বছর দুই আগে বিচ্ছেদ হয়েছে রনি-ফারিয়ার। তবে অভিনেত্রী তাদের সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট এখনও ভুলতে পারেননি। অভিনেত্রী বলেন, মানসিক অবসাদের কারণে তিন মাস কাজ করিনি। এখনও অবসাদ কাটানোর ওষুধ খাচ্ছি। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, গেল ১৮ মে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। ২০ মে কারামুক্ত হন অভিনেত্রী।
দৈএনকে/ জে .আ
