ডা. মির্জা রিয়াদকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন


ঘুষ-দুর্নীতি-স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন অনিয়মের দায়ে সুনাগঞ্জর তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিবাদে সরগড়ম হয়ে উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।’
গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে একযোগে উপজেলার বৃহত্তর বানিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজার ও তাহিরপুর সদরে ছাত্র-জনতার যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, খনিজ সম্পদে ভরপুর আমাদের তাহিরপুর দুর্নীতি-ঘুষ অনিয়মের কারনে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, কথায় আছে মৎস্য-পাথর-ধান, সুনামগঞ্জের প্রাণ অতচ এই দুর্নীতি লুটপাটের কারনে তহিরপুরের সাধারণ মানুষের জীবন মানের কোন উন্নতি হয়নি। চব্বিশের ‘গণঅভ্যুত্থানে’ ফ্যাসিসরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কিন্তু তার দোষররা দেশের বিভিন্ন সেক্টর দখল করে দুর্নীতি অনিয়ম লুটপাট করে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. মির্জা রিয়াদ। কসাই ডা. মির্জা রিয়াদ আমাদের তাহিরপুরের একমাত্র হসপিটালকে তার বাবার সম্পত্তি হিসেবে ভোগ করছেন, তাহিরপুরের এই হাসপাতালে নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিতে গেলে হেনস্থায় শিকার হতে হয় এছাড়াও অযতা ভাবে সে পরীক্ষা-নিরিক্ষা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রারী করেন। যার টেস্ট করা দরকার নেই তাকেও টেস্ট করান ডা. মির্জা রিয়াদ, এভাবেই বিভিন্ন টেস্ট-পরীক্ষার মাধ্যমে সে আমাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সকে বাণিজ্যকরনে রুপান্তর করেছেন, এমনকি তাহিরপুর সদর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন যেখানে ফ্রি সেবা দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেছে বিগত দিনে।
বক্তরা আরো বলেন, করোনা কালীন সময়ে তিনি কর্মরত ২৪ জন সেবা কর্মীর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ভাতা মেরে দিয়েছেন। ইঞ্জুরি সার্টিফিকেট নিতে গেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ডা. মির্জা রিয়াদ। হাসপাতালে সময় না দিয়ে তিনি বেশীর ভাগ সময় বিভিন্ন জায়গায় চেম্বার নামে কসাই খানা খুলে বসেছেন তিনি। খাবারের টেন্ডার সাথেও জড়িত রয়েছেন, আমাদের আফসোস হয় তিনি একজন ডা. হয়ে খাবারের টেন্ডারের সাথে জড়িত রয়েছেন, ডা. না হয়ে ভাতের হোটেল দিলেই ভালো হত। হাসপাতালে ৩০ জন রোগী আসলে ৫০ জন লেখা হয় খাবার তালিকায়। তিনি হাসপাতালে ভাতের ব্যবসা খুলে বসেছেন আমরা তাহিরপুরবাসী এই ভাতের ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আর দেখতে চাই না। অভিলম্বে তাকে হাসপাতাল থেকে অপসারণ করা হউক। তার সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হউক।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুর রশিদ, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নাছরুম আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন রশিদ, বিএনপি নেতা নুরুল হক আফেন্দী, উপজেলা যুবদল নেতা শাহজাহান মিয়া, সমাজ সেবক আতিকুর রহমান আতিক, তৌহিদুল ইসলাম, যুবদল নেতা লিংকন, জাহাঙ্গীল আলম সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
