নোবিপ্রবিতে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ


গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সহকর্মী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে নীরবতা ভাঙা প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সাংবাদিকরাও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে জনসাধারণের সেবা করে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিকরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছেন। আইন থাকলেও বাস্তবে তার যথাযথ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। একজন সাংবাদিককে হত্যা করা মানে গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে হত্যা করা। আমরা চাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হত্যা ও হয়রানির প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া বলেন, “আসাদুজ্জামান তুহিনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অতীত ও বর্তমান—দুই সময়েই সাংবাদিকরা হামলা, মামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিকভাবে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। বিচার না হলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বয়কট করব।
নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ বলেন, “রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বারবার এমন ঘটনা ঘটায় এর প্রতি মানুষের বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করেন। তাদের ওপর হামলা মানে সত্যকে দমিয়ে রাখা এবং স্বৈরাচারী মনোভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। এ ধরনের অপরাধের বিচার না হলে সমাজে নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সদস্যরা। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, দেশের প্রতিটি সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং কেউ যেন অনায়াসে সাংবাদিকতার নামে হামলা বা হত্যার শিকার না হয়।
