রসগোল্লা: বাঙালির প্রিয় মিষ্টির রাজা


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন
বাঙালির মিষ্টির তালিকায় এক অবিচ্ছেদ্য নাম রসগোল্লা । সাদা, নরম, তুলোর মতো এই গোল বলগুলো তৈরি হয় তাজা ছানা ও হালকা চিনি সিরা দিয়ে, যা মুখে দিলেই গলে যায়। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে উৎসব–অনুষ্ঠান—রসগোল্লা সব সময়ই আনন্দ ও মিষ্টি স্মৃতির সঙ্গী।
উপকরণ:
- এক লিটার দুধের ছানা
- ময়দা-১ টেবিল চামচ
- গুড়া দুধ -১ টেবিল চামচ
- চিনি-১ টেবিল চামচ
- সুজি-১ টেবিল চামচ
- এলাচ গুড়া-১ চিমটি
- বেকিং পাউডার -১/৪ চা চামচ
- ঘি-১ চা চামচ
সিরা তৈরি করার জন্য লাগবে:
- চিনি-২.৫ কাপ
- পানি-২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
- প্রথমে চুলায় হাড়ি বসিয়ে ১ লিটার ফুল ক্রিম দুধ নিবো।এবার দুধে একটা বলক চলে আসলে চুলার আচ লো করে দিয়ে এতে ১/৪ কাপ পানির সাথে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে ধীরে ধীরে দুধের সাথে মিশিয়ে নিবো।
- কিছুক্ষণের মধ্যেই ছানা কেটে সবুজ পানি বের হবে।চুলার আচ বন্ধ করে সাবধানে ছানা ছেকে নিবো।
- ছানা গুলো ট্যাপের পানিতে ভালো ভাবে ধুয়ে নিবো যাতে ছানায় কোন গরম ভাব না থাকে এবং ভিনেগার এর গন্ধ চলে যায়।
- পাতলা সুতি কাপড়ে ছানা নিয়ে ভালো ভাবে পানি নিংড়ে ২ ঘন্টার জন্য ঝুলিয়ে রাখবো।
- এবার একটা পাত্রে সমস্ত শুকনো উপকরণ নিয়ে ঘি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবো।
- এবার ছানা টাকে হাল্কা হাতে ভালো ভাবে ময়ান দিয়ে দলা ভেঙে নিবো এবং স্মুদ করে নিবো।যদি ছানা শক্ত বা শুকনো লাগে তাহলে ১ টেবিল চামচ লিকুইড দুধ ধীরে ধীরে এড করে নরম করে নিবো।
- এখন এই ছানার সাথে সমস্ত শুকনো উপকরণ গুলো ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবো যাতে কোথাও কোন দানা ভাব না থাকে।
- কোন ভাবেই জোরে ময়ান দেয়া যাবে না।তাহলে ছানা তেল ছেড়ে দিবে ফলে মিস্টি শক্ত হবে,ফুলবে না।
- ছানার ডো থেকে ১০ টি সমান ভাগ করে মিস্টি বানিয়ে নিবো,এবং প্রতিটি মিস্টির উপর খুব ভালো ভাবে মসৃণ হতে হবে।
- চুলায় মাঝারি সাইজের(২০ সেন্টিমিটার) এর একটা গর্ত যুক্ত হাড়ি নিয়ে এতে চিনি এবং পানি দিয়ে সিরা করে নেই।সিরায় বলক আসলে ছানার বল গুলো দিয়ে ঢেকে হাই হিটে ৫ মিনিট রান্না করি।
- এবার ঢাকনা খুলে খুব আলতো ভাবে মিস্টি গুলো নেড়ে আবারও ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবো।
- ১০ মিনিট পর ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানি মিস্টি উপরে হাল্কা হাতে দিয়ে,হাল্কা ভাবে নেড়ে আবার ঢেকে দিবো।
- এভাবে টোটাল ১২ মিনিটে ৩ কাপ পানি যোগ করতে হবে।চুলার হাই তেই থাকবে।
- ২২ মিনিট পর মিস্টি গুলো হয়ে যাবে এবং সিরার নিচে চলে যাবে।
- তখন ১ কাপ নরমাল পানি সিরার মধ্যে দিতে হবে,যাতে মিস্টি গুলোর কুকিং প্রসেস বন্ধ হয়ে যায়।
- মিস্টি গুলো ৭/৮ ঘন্টা সিরায় রেখে পরিবেশন করা যাবে।
রসগোল্লা এমন এক মিষ্টি যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে। উৎসব হোক, অতিথি আপ্যায়ন হোক কিংবা মন ভালো করার অজুহাত—একটি নরম, রসে ভরা রসগোল্লাই যথেষ্ট।
দৈএনকে/জে, আ

গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন