দুর্দান্ত খেলে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ


তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে টাইগাররা। তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমনের হাফ-সেঞ্চুরি এবং তানভীর ইসলামের দুর্দান্ত স্পিন বোলিংয়ে ১৬ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ফলে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।
টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২৪৮ রানে অলআউট হয়। ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও ওপেনার ইমন ৬৯ বলে ৬৭ রানের দৃঢ় ইনিংস খেলে পথ দেখান। হৃদয়ও খেলেন ৫১ রানের কার্যকর এক ইনিংস। শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব ২১ বলে ঝোড়ো অপরাজিত ৩৩ রান করে দলের স্কোর আরও সমৃদ্ধ করেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসিথা ফার্নান্দো সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন ৩টি, আর একটি করে উইকেট নেন চামিরা ও আসালাঙ্কা।
২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৬ রানেই পাথুম নিশাঙ্কাকে এলবিডব্লিউ করেন তানজিম সাকিব। এরপর তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে একে একে ফেরেন মাদুশকা, কুশাল মেন্ডিস (৩১ বলে ৫০), ভেল্লালাগে এবং থিকশানা। একপর্যায়ে ১৭০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে হারের মুখে পড়ে স্বাগতিক দল।
তবে জানিথ লিয়ানাগে একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৭৮ রানের দৃঢ় ইনিংস খেলে লঙ্কানদের জয়ের আশায় রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হয়ে গেলে সেই আশাও ফিকে হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ইনিংসেও ছিল নাটকীয়তা। শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় দল। এরপর শান্ত ও ইমন গড়েন ৬৩ রানের জুটি। শান্ত ফেরেন ৩০ রানে, কিন্তু ইমন ও হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে স্কোর। মিরাজ আবারও ব্যর্থ হন, ফেরেন মাত্র ৯ রানে। জাকের আলী (২৪) ও হৃদয় গড়েন ৪৫ রানের জুটি, তবে হৃদয়ের রান আউটের পর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষদিকে সাকিবের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে দল যায় ২৪৮ রানে।
এই ১৬ রানের জয় টাইগারদের জন্য শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়—এটি ছিল প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার লড়াইও। এখন সিরিজ ১-১ সমতায়। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে একরকম ফাইনালে—যেখানে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকবে দুই দলই।
এন কে/বিএইচ
