৬৩ লাখ টাকার অজানা সম্পদ, রাজউক কর্মকর্তা ও স্ত্রী দুর্নীতির মামলায়


দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজউকের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রী ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশীর বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকার অজানা উৎসের সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২২ টাকার সঞ্চয়পত্র ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন। তিনি দাবি করেন, এসব অর্থ তার পিতা মো. ওয়াজেদ আলীর অনুদান হিসেবে পেয়েছেন।
তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঐশীর পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ফোরম্যান হিসেবে চাকরি করতেন এবং অবসরের সময় ভবিষ্যৎ তহবিল ও পেনশন বাবদ পেয়েছেন ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫১ টাকা। ওই অর্থ থেকে কন্যাকে অর্থ প্রদান, দান বা ঋণের কোনো লিখিত প্রমাণ বা আর্থিক লেনদেনের সপক্ষে দলিল পাওয়া যায়নি। এমনকি ঐশীর বড় ভাই ওয়াহেদুস সাবা মিথুনকেও কোনো সম্পদ হস্তান্তরের তথ্য মেলেনি।
দুদক আরও জানায়, ঐশী একজন গৃহিণী এবং তার নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। ২০২২ সালে তিনি আয়কর নিবন্ধন গ্রহণ করলেও কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দুদক মনে করে, সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রী ঐশী পরস্পরের যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈএনকে/ জে. আ
