সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড় স্বাধীনতার পর কাঙ্ক্ষিত হয়নি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণ-অভ্যুত্থানের পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা হয়েছে: টিআইবি ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি: অর্ধশতাধিক অভিবাসীর করুণ মৃত্যু ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ষড়যন্ত্রের ছায়া রাষ্ট্রযন্ত্রে: প্রশ্ন উঠবেই, চাপা দেওয়া যাবে না রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ, জুলাইয়ে এসেছে ২৪৮ কোটি ডলার জনগণের অধিকার ও উন্নয়নে রাজনীতি করতে চায় বিএনপি: তারেক রহমান
  • মুরাদনগরের নারী নির্যাতন: র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মুরাদনগরের নারী নির্যাতন: র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

    কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূল হোতা শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই। তিনিই নারীকে মারধর, বিবস্ত্র করা এবং ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেয়ার মূল পরিকল্পনাকারী। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তার কাছ থেকে ঘটনার ছবি, ভিডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

    র‌্যাব আরও জানায়, প্রায় দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ভাই শাহ পরানের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশে বড় ভাই ফজর আলী জনসম্মুখে ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ ধরনের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেন।


    সালিশের কিছুদিন পর, ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নারীর বাবা-মা মেলায় গেলে, সেই সুযোগে ফজর আলী টাকা আদায়ের অজুহাতে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।

    পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান, আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ আরও ৮-১০ জন সহযোগী দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। তারা এ সময় মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

    ঘটনার পর থেকে শাহ পরানসহ অভিযুক্ত সবাই আত্মগোপনে চলে যান। র‌্যাব জানিয়েছে, বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন