শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • রোববার সীমিত পরিসরে খুলছে মাইলস্টোন কলেজ ট্রাম্পের বক্তব্যে হতবাক ভারত, 'প্রকৃত বন্ধুত্বে' চিড়: নিউইয়র্ক টাইমস মালিক পক্ষের হস্তক্ষেপে জনকণ্ঠে আবারও আলোচনায় ‘র’ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ২০৯ ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং করণীয়: দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়, চাই সমন্বিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো নারী এএসপি নেই: পুলিশ সদর দপ্তর মুক্তিযুদ্ধের সংবিধান মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা চলছে: মেজর হাফিজ কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল অটোরিকশাচালকসহ ৪ জনের জেল সুপারের 'গোপন সাম্রাজ্য': ৫ কোটি টাকার ভবন!
  • দুই কোটির বেশি শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে

    দুই কোটির বেশি শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সারাদেশে শুরু হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এই কর্মসূচির আওতায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

    তবে অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতি বছর দুইবার এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত অন্ধত্ব ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

    এবারের ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সরকারের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি শিশুকে পুষ্টিহীনতা থেকে মুক্ত রাখা এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। এ কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

    ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদের জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন