৫ দফা দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এক মাসের আলটিমেটাম সরকারকে


জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দাবি মেনে না নিলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এছাড়া ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে শিক্ষকদের ১২ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি.আর. আবরারের সঙ্গে দেখা করেন।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, সব দাবি একবারে পূর্ণ করা সম্ভব নয়। এই দাবিগুলোর পূরণে কি পরিমাণ অর্থ লাগবে তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে।
আজিজী বলেন, আমরা প্রস্তাব রেখেছি আমাদের বাড়ি ভাড়া পার্সেন্টেজ হিসেবে বাড়াতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১০০০ করার কথা বলেছে, আমরা এই বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলিনি। আমরা বাড়ি ভাড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য আরও বলেন, যদি ডিউ লেটার পাঠানো না হয়, তাহলে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ সেপ্টেম্বর সারা বাংলাদেশে প্রতিটি এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করব এবং ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তারপরও যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে ১ মাস অপেক্ষা করে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা—এই ৫ দাবিতে মহাসমাবেশে আন্দোলন করেন শিক্ষকরা। সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। পরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা স্থগিত করে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
