বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক প্রাণের তিন কর্মীর কারাদণ্ড, কোম্পানির দাবি ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ ভয় নয়, সচেতন করতেই এমন বিজ্ঞপ্তি: এনবিআর চেয়ারম্যান শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর, নিম্নাঞ্চল প্লাবনের আশঙ্কা অবৈধ অভিবাসনের মরীচিকা ও বেদনাদায়ক বাস্তবতা উড়োজাহাজ সংকটে দুবাই ও কুয়েত ফ্লাইট বাতিল করল বাংলাদেশ বিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই জাহাজ কেনার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ইউক্রেন!
  • মাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

    মাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের যেকোনো ধর্মীয় স্থান, মসজিদ, মাদরাসা বা এতিমখানায় কোনো ধরনের হামলা বা ধ্বংসযজ্ঞ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম চলবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। রবিবার (১০ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান।

    উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    এসব বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে রিপোর্ট রয়েছে।’ 

    মাজার ও মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা আছে। প্রতিটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়, তাই সামাজিক সচেতনতাও জরুরি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে।

    সিসি ক্যামেরা থাকলে কোনো দুর্বৃত্ত যদি মাজার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় তাহলে তাদের চিহ্নিত ও আটক করা সহজ হবে।’
     
    এর আগে সকাল ৯টায় তিনি সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা মসজিদে গিয়ে তিনি জানান, আধুনিক তুরস্কে যে দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলো আছে, এখানে সেগুলোর আদলে ১০ তলা দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এই মসজিদে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা থাকবে।

    ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। পাগলা মসজিদের দানের টাকা দিয়েই দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হবে। শিগগিরই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

    মসজিদের তহবিলে জমা থাকা টাকার হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংকে এফডিআর আকারে জমা রয়েছে। যারা অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো পোশাক-পরিচ্ছদ কিনতে অক্ষম।

    আমি মসজিদ কমিটিকে বলেছি, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও যেন এই লভ্যাংশ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তা হবে একটি মহৎ কাজ। মসজিদের লভ্যাংশের টাকা গরিব, দুঃখী, অনাথ এবং অসুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা এসব মানুষের সহায়তায় ব্যয় করা হয়েছে। 

    পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরানুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দেন।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন