রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • মানসিক সংস্কার ছাড়া মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ কোরিয়ার বিপক্ষে সাময়িক সুবিধা পেলেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ সোহান-আফিফদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল পৌঁছাল অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে আমাদের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র, আপস করবে না ভারত: নাইডু ১২ আগস্ট মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের আহ্বান: গাজা দখল রোধে মুসলিম বিশ্বে ঐক্য গড়ে তুলুন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিদেশ কার্যক্রম, নজর রাখছে সরকার: প্রেস সচিব মাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও সমতা ফেরালো দক্ষিণ কোরিয়া খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ: নতুন ভোটার ৪৫ লাখ, বাদ যাচ্ছে ২১ লাখ
  • গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি জালিয়াতি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক ৩

    গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি জালিয়াতি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক ৩
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি জালিয়াতির অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনজনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে এসে ধরা পড়েন ময়মনসিংহের ত্রিশালের ওবায়েত হাসান আফিক (রোল: ২০১৬৯৭)। জিজ্ঞাসাবাদে একই চক্রের আরও দুইজনের সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বাক্ষর মিলাতে ব্যর্থ হন আফিক। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারার অমিল এবং বিজ্ঞান বিভাগের সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকদের সন্দেহ হয়। অভিভাবকের কথা জানতে চাইলে তিনি বড় ভাই পরিচয়ে পনির উদ্দিন খান পাভেলকে ডেকে আনেন।

    কথোপকথনে অসঙ্গতি ধরা পড়লে আফিকের ফোন পরীক্ষা করে ভর্তি লেনদেন ও স্বাক্ষর কৌশল নিয়ে পাভেলের সঙ্গে আলাপের প্রমাণ মেলে। পাভেলের ফোনে পাওয়া যায় অসংখ্য ভর্তি ও চাকরিপ্রার্থীর প্রবেশপত্র ও ছবি। জেরায় আফিক প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

    পাভেলের ফোনে কল আসে ‘সিয়াম’ নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সালমান ফারদিন সাজিদ সিয়াম—২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি স্বীকার করেন, কৌশিক কুমার চন্দ নামে এক শিক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন এবং এর বিনিময়ে পাভেলের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে কৌশিক লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন (রোল: ২০৪৩৯৩)।

    জবানবন্দির সময় সিয়ামের ফোনে কল আসে শান্ত ভূইয়া নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। শান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সিয়ামের বন্ধু। তার মাধ্যমেই পাভেলের সঙ্গে সিয়ামের পরিচয় হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, পাভেলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে, আফিকের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালের চরপাড়ায়। সিয়ামের ফোনে আরেক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিটের ছবি পাওয়া যায়, যিনি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। পাভেলের দাবি, তিনি বাবু নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করেন, যিনি কৌশিককে ভর্তি করাতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

    এখনও আফিকের হয়ে কে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আফিক ও কৌশিক দুজনের প্রক্সিই জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার দুর্বলতা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার স্বচ্ছতা এবং জামালপুর কেন্দ্রকে ঘিরে জালিয়াতি চক্রের বিস্তার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ঘটনাটি জামালপুরে ঘটলেও আমাদের ক্যাম্পাসে এসে ধরা পড়েছে। সবার সহযোগিতায় সত্য বের হবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত চালানো হবে। তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।”
     


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন