বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে মাথাচাড়া দিতে পারে ফ্যাসিস্ট: তারেক রহমান জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে স্বচ্ছ ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপির সারা দেশের ১০২ জন এসি (ল্যান্ড) কে প্রত্যাহার করল সরকার অন্তর্বর্তী সরকারের এক্সিট পলিসি নির্ধারণের সময় এসেছে: ড. দেবপ্রিয় সাঁতারে নতুন ইতিহাস, ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি বাংলাদেশিদের গাজীপুরে আসন বাড়াতে ও বাগেরহাটে কমাতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আত্মতুষ্টি নয়, প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও জবাবদিহিতা গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে নাশকতার শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির বেশি হত্যাকাণ্ড, চুরি-ডাকাতির ঘটনাও উদ্বেগজনক খালেদা জিয়া সুস্থ, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
  • উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা: লাল সংকেত জারী

    উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা: লাল সংকেত জারী
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভারতের সিকিমের পাহাড়ে ও সমতলে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

    উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে যেতে বসেছে আমন ধানসহ নানান ফসলের খেত। ভেসে যাচ্ছে চাষিদের পুকুরের মাছ,গর্জে উঠেছে তিস্তা।

    প্রচন্ড স্রোত সামাল দিতে খুলে দেয়া হয়েছে নীলফামারীর ডালিয়াস্থ তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইচ গেট।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২.১৫) বরাবর প্রবাহিত হলেও রাত ১১টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেন নিশ্চিত করেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশী অমিতাভ চৌধুরী। 

    তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচগেট খুলে রাখা হয়েছে। ফলে তিস্তা অববাহিকায় লালসংকেত জারী করা হয়েছে।

    ভারতের সিকিমের পাহাড়ে ও সমতলে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

    তিস্তাপাড়ের মানুষজন বলছেন নদীর স্রোতের গর্জন ও চাপ অনেক। ফলে তিস্তা ব্যারাজ সংলগ্ন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার শিঙ্গিমারী ধুপড়ি এলাকার যাতায়াতের একমাত্র মাটির সড়কটি বিধ্বস্থ হয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বসতবাড়িতে প্রবেশ করছে। এতে বাড়িঘরে হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।

    এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা উপজেলা, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, কালিগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙ্গনেরও আশংকা করা হচ্ছে। বেশকিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তলিয়ে গেছে চরের সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিখেত। পানি বাড়লে বন্যার পরিধিও বাড়বে। পানি ঢুকবে নতুন নতুন এলাকা। চলতি বছর এবার তিস্তা নদীতে এখন পর্যন্ত বড় কোনো বন্যা হয়নি। এটি বন্যায় রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছে তিস্তাপারের মানুষ। নদীতীরবর্তী অঞ্চলের জনগণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। 


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ