রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫


রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।
তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে তাদের রংপুরের আদালতে তোলা হয়। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।
আদালতে তোলা আসামিরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়ার লাভলু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আলী (২৫), ধনীপাড়ার নুর আলমের ছেলে স্বাধীন মিয়া (২৮), চাঁদখানা মাঝাপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮), পাঠানপাড়ার মৃত বাবুল খানের ছেলে এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২২) ও চওড়াপাড়ার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।
এর আগে পুলিশের প্রিজনভ্যানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদের আদালত চত্বরে নেওয়া হয়। তারা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় অজ্ঞাতনামা লোকজন ভাঙচুর, লুটপাট এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে কয়েকটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে শ্রী রবীন্দ্রনাথ রায় (৫৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গত শনিবার (২৬ জুলাই) রঞ্জন কুমার রায় নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পাশের এলাকার লোকজন এসে আলদাতপুর ছয়আনি বালাপাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি মনে করে অন্য আরেকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। পর দিন রোববার আরেক দফা ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন।
