লক্ষ্মীপুরে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী নারিকেল পুলি পিঠা


অতিথি পরায়ণতায় সুপরিচিত লক্ষ্মীপুরের মানুষ। এক সময় অতিথি আপ্যায়নে যেসব পিঠার ব্যবহার ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ঐতিহ্যবাহী নারিকেল পুলি পিঠা। আধুনিকতা আর ব্যস্ত জীবনের চাপে সেই স্বাদ ও সৌন্দর্য যেন হারিয়ে যাচ্ছে আজকের দিনের অতিথি আপ্যায়নের তালিকা থেকে।
এক সময় গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরেই অতিথি এলে গরম গরম নারিকেল পুলি পিঠা পরিবেশন ছিল যেন এক অলিখিত নিয়ম। মোটা করে বানানো ময়দার খোলসের ভিতর নারিকেলের পুর, চিনির মিশ্রণ আর ঘি-এর হালকা সুবাস—সব মিলিয়ে নারিকেল পুলি ছিল এক অনন্য স্বাদের বাহক।
কালের বিবর্তনে এখন এসব পিঠা বানানো সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলাপূর্ণ মনে হয় অনেকের কাছেই। ফলে অতিথি আপ্যায়নে বিস্কুট, কেক, বা ফাস্টফুডের আধিপত্য বেড়েছে। তবে এখনও যারা পিঠা ভালোবাসেন, বিশেষ করে শীতকালে বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে, তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে এই নারিকেল পুলি।
লক্ষ্মীপুরের এক প্রবীণ গৃহিণী বলেন, “আগে আমাদের বাসায় কেউ এলেই নারিকেল পুলি পিঠা বানানো হতো। এখন সময় নেই, আগ্রহও কমে গেছে। তবে স্বাদটা ভুলতে পারি না।”
বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে কিছু পরিবার এখনো ঐতিহ্য ধরে রাখছে। বিশেষত ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ কিংবা বিয়ে বা আকিকা উপলক্ষে নারিকেল পুলি পিঠার দেখা মেলে।
এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং আগ্রহ। নতুন প্রজন্ম যদি শিখে নেয় এবং নিজেদের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে দেয়, তাহলে নারিকেল পুলি পিঠার ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসতে পারে প্রতিটি ঘরে।
দৈএনকে/ শা.আ
