জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানে কীভাবে সতর্ক থাকবেন


দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছাতে বিমানের চেয়ে দ্রুতগতির যন্ত্র আর নেই। পথের যাত্রা দীর্ঘ না করতে ও সময় বাঁচাতে বিমানই ভরসা। কিন্তু যেকোনো সময় এ ভরসার বাহনটি পড়তে পারে দুর্ঘটনায়। তাই বিমান ভ্রমণের আগে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পাশাপাশি জানা প্রয়োজন জরুরি অবস্থায় কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কেও।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চেকিং শেষে পছন্দের সিটে বিমান ভ্রমণ করে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে সহজেই পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও ঘটতে পারে আপনার জীবনে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুখোমুখি হতে পারেন বিমানের ভেতর জরুরি অবস্থার। তাই বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে সে পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রস্তুত রাখা জরুরি।
সতর্কতা
সাধারণত যান্ত্রিক ত্রুটি, প্রাকৃতিক কারণ (আবহাওয়ার পরিবর্তন) অথবা পাইলটের ভুলে বিমানে জরুরি অবস্থা তৈরি হয়। সে পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় কী জানেন, আসুন একে একে তা জেনে নিই-
১। বিমানে জরুরি অবস্থা একটি গুরুতর পরিস্থিতি, যা যে কোনও সময় ঘটতে পারে। বিমান ভ্রমণের সময় এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
২। এই অবস্থায় যাত্রীদের আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকতে হবে এবং বিমান কর্মীদের নির্দেশাবলী কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৩। জরুরি অবস্থার সময় যাত্রীদের সিটবেল্ট বেঁধে রাখা প্রয়োজন। এতে জীবন বাঁচাতে পারে। কারণ সিটবেল্ট বাঁধা থাকলে ঝাঁকুনি বা টার্বুলেন্সের কারণে আঘাত লাগার শঙ্কা কমে।
৪। বিমান জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিন।
৫। জরুরি অবস্থায় বিমান থেকে দ্রুত বের হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাই বিমানে উঠেই ‘জরুরি নির্গমণ পথ’ আগে থেকেই দেখে রাখুন, যাতে বিপদের সময় দ্রুত বের হতে পারেন।
৬। জীবন বাঁচাতে জরুরি অবস্থায় অনেক সময় যাত্রীদের বিমান ত্যাগ করার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিমানে যাত্রীদের জন্য প্যারাসুটের ব্যবস্থা থাকে। বিমান ভ্রমণের সময় আপনার জন্য বরাদ্দ প্যারাসুটটি বুঝে নিন এবং বিমান ভ্রমণের আগে সেটির ব্যবহার অবশ্যই শিখে নিন।
দৈএনকে/জে, আ
