যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পোশাক আমদানিতে ২২ বছরের সর্বনিম্ন রেকর্ড


যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পোশাক আমদানি চলতি বছরের মে মাসে এসে পৌঁছেছে ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে। নতুন বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান বলছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা উচ্চ শুল্ক নীতির কারণে এই পতন ঘটেছে।
২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আমদানি করেছে মাত্র ৫৫৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক, যেখানে এপ্রিল মাসে এই পরিমাণ ছিল ৭৯৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি কমে গেছে আমদানি।
এটি টানা চতুর্থ মাসের পতন, যা বিশ্ববাণিজ্যে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর আগে এত কম পরিমাণে চীনা পোশাক আমদানি হয়েছিল ২০০৩ সালের মে মাসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ এবং সরবরাহ চেইনের বৈচিত্র্য আনতে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উদ্যোগ এই পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, মেক্সিকোসহ অন্যান্য উৎপাদনশীল দেশ থেকে পোশাক আমদানি ক্রমেই বাড়ছে, যা চীনের বাজার অংশীদারিত্বে চাপ তৈরি করছে।
এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা শুধু চীনের শিল্প খাতেই নয়, বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের ভারসাম্যেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতারা ক্রমেই চীনা পণ্যের বদলে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও মেক্সিকোর দিকে ঝুঁকছেন।
মেক্সিকো থেকে পোশাক আমদানি মে মাসে ১২ শতাংশ বেড়ে ২৫৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর উৎস বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর এই প্রবণতা নতুন নয় এবং সামনের মাসগুলোতে উৎসবের মৌসুমের সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য এই পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জের হতে পারে।
