ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়ার সশস্ত্র হামলা, ২ জনের মৃত্যু


ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে আবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে রোমানিয়া সীমান্তবর্তী চেরনিভসি অঞ্চলে এক দফা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সময় ভোররাতে চালানো এই আক্রমণে বসবাসযোগ্য ভবন ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। এখনো উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে, আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চেরনিভসি অঞ্চলটি রোমানিয়ার সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় হামলার ধরণ ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। তবে এই হামলায় রোমানিয়ার ভূখণ্ডে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে।এই ঘটনার পর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারি করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, লেভিভ, লুটস্ক এবং চেরনিভসির মতো পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রাশিয়া ‘সন্ত্রাস’ বৃদ্ধি করছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। এতে বেসামরিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন।
ওই পোস্টে রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন সিবিহা।
রাশিয়ার ‘যুদ্ধযন্ত্র’ প্রতিদিন শত শত ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরি করছে বলে সতর্ক করেন সিবিহা। তিনি বলেন, এর ব্যাপকতা শুধু ইউক্রেন নয়, গোটা ট্রান্সআটলান্টিক অঞ্চলের জন্য হুমকি।
চেরনিভসকি অঞ্চলের গভর্নর রুসলান জাপারানিউক জানান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরে দুজন নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং অনেক আবাসিক ভবন ও সরকারি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লেভিভ শহরের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি জানান, সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত চত্ত্বরসহ ৪৬টি আবাসিক ভবন এবং ২০টির মতো ছোট ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
