মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • গর্ভবতী নারী কর্মকর্তাকে রাঙামাটিতে বদলি: বেতারের ডিজির বিরুদ্ধে ‘অমানবিকতা’র অভিযোগ আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম মেন্ডিসের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের আশা যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাঝে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ: মালয়েশিয়া ফেরত চারজন ৪ দিনের রিমান্ডে অভিষেকেই চমক, এশিয়া কাপে সুপার ফোরে বাংলাদেশ প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’ বৃদ্ধি পাচ্ছে: রিজভী গাজায় প্রাণঘাতী হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু চাকরি হারানোর আতঙ্কে রাজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
  • বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব! জানুন কোন কোন দেশে

    বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব! জানুন কোন কোন দেশে
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সম্ভাবনার দ্বার খুলতে অনেকেই চান নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকুক। এ ক্ষেত্রে ভিনদেশি মানুষকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব নেন অনেকে। আবার বিদেশে পড়তে যাওয়া বা কাজের সূত্রে অন্য দেশে ভ্রমণের ফলে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। যা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেসব দেশের নাগরিকদের বিয়ে করলে সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নিই, কোন কোন দেশ তাদের নাগরিককে বিয়ে করার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে নাগরিকত্ব দেয়।

    তুরস্ক

    তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এ ছাড়া তুরস্কের নাগরিক হলে আপনি পাবেন এক বিশেষ সুবিধা। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে পৃথিবীর ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।

    স্পেন

    দক্ষিণ ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ স্পেন। ওই দেশের আইনে বলা আছে, স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে তার সঙ্গে এক বছর বসবাস করলেই স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। গরিকত্ব পেয়ে গেলে আপনি লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন। তবে নাগরিকত্বের জন্য আপনার লাগবে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ।

    আর্জেন্টিনা

    আর্জেন্টিনার কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পরই নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বৈধ বিয়ের প্রমাণের পাশাপাশি লাগবে সেই দেশে কোনো অপরাধ না করার প্রমাণ ও সাধারণ স্প্যানিশ ভাষার জ্ঞান।

    মেক্সিকো

    মেক্সিকোর আইন অনুযায়ী, একজন মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করলে তার সঙ্গে মাত্র দুই বছর বসবাস করলেই দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য থাকতে হবে স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা, বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ। 

    সুইজারল্যান্ড

    সুইজারল্যান্ড সাধারণভাবে কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ হলেও বৈধ বিয়ের মাধ্যমে দেশটিতে নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াটি বেশ সহজও বটে। স্বামী বা স্ত্রী যদি সুইস নাগরিক হন এবং যদি তিন বছর একসঙ্গে থাকেন, তাহলে পাঁচ বছর বসবাসের পর আপনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। যদি দেশের বাইরেও থাকেন, তারপরও ছয় বছরের বিবাহিতকাল অতিক্রান্ত হলেই আবেদন করতে পারবেন। সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া সাধারণত বেশ দ্রুত সম্পন্ন হয়। একবার এই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে ইউরোপে বসবাসের সুযোগও পাবেন। আবেদনের জন্য লাগবে সুইজারল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা; যেকোনো অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না থাকার রেকর্ড ও বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় আছে, এমন প্রমাণ।

    কেপ ভার্ড

    কেপ ভার্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এখানকার নাগরিককে বিয়ের পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে বৈধভাবে কেপ ভার্ডের নাগরিককে বিয়ে করতে হবে।


    দৈএনকে/ জে. আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ