অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে তিনটি চ্যালেঞ্জ


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত, বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য ভাটা পড়ছে, যা শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। দ্বিতীয়ত, ঋণের প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সুবিধা সীমিত হচ্ছে। তৃতীয়ত, উচ্চ সুদের হার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যয় বৃদ্ধি করছে এবং বিনিয়োগের আকর্ষণ কমাচ্ছে। এই তিনটি প্রভাব মিলিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ঠেলে দিচ্ছে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত নীতি সমন্বয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) মাসিক ইকনোমিক আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমা বাড়ছে, কিন্তু ঋণ দিচ্ছে না ব্যাংক। ব্যবসায় আস্থাহীনতা রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড পর্যায়ে নেমে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ব্যাংকে নির্ভরতা বাড়ছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে ছিল, যা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চাল ও খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমলেও সামগ্রিক মূল্যচাপ অব্যাহত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় সেপ্টেম্বর মাসে কমে দাঁড়ায় ৩,৬২৭ মিলিয়ন ডলারে। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২১ শতাংশ, তবুও লক্ষ্য পূরণে ঘাটতি রয়েছে।
