বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গড়তে চান ফখরুল


বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার মূল ভিত্তিই হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, আর সেই আদর্শেই দলকে এগিয়ে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও সেই লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি দেশের সব গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে এই আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সমেন সাহার নেতৃত্বে ৫০ জন তার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো বিভাজনে বিশ্বাসী নই, সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গী করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বিএনপির দর্শন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৬ সালেই রেইনবো স্টেটের বিষয়ে বলেছেন। যেখানে সব ধর্ম, মত ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি বলেন, দেশে অনেক বিভাজন-ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার চিত্র দেখতে চায় না, ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করাই মূল কথা। তবে বর্তমানেও বাইরের কিছু দেশ মিডিয়া ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিগত অবস্থান, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিভিন্ন কারণে দেশে অনেক বিভাজনের সৃষ্টি করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে অনেকেই ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআর করতে হবে থেকে শুরু করে অনেক কথা হচ্ছে, আমরা সেসব বলি না। আমরা বলি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম এবং ২৪-এ একটি নতুন সুযোগ এসেছে নতুন করে বাংলাদেশ তৈরি করার। আমরা সব সম্প্রদায় এই ভূখণ্ডে একসঙ্গে বসবাস করতে চাই এবং সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিএনপি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
