রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj

সেতু ভেঙে দুর্ভোগে উলিপুরের হাজারো মানুষ 

সেতু ভেঙে দুর্ভোগে উলিপুরের হাজারো মানুষ 
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। দীর্ঘদিনেও এটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ না করায় এলাকাবাসী, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বড়ুয়া তবকপুর হয়ে রসুলপুর চুনিয়ারপার মোড় পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছিল। ওই সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বড়ুয়া তবকপুর বাজারের কাছে থাকা সেতুটি ২০১৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। 

এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সড়কের মাঝখানে বিশাল গর্ত তৈরি হয় এবং আশপাশের প্রায় এক একর আবাদি জমিও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে ভেলায় পারাপার হচ্ছেন বা কৃষিজমির সরু আইল ধরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তিন কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়। 

স্কুলছাত্র আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের  বলেন, “বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ভয় লাগে, কখন পানিতে পড়ে যাই কে জানে। তাই মাঝে মাঝে স্কুলেই যেতে পারি না।”
স্থানীয় রাহেনা বেগম সাংবাদিকদের  জানান, “সেতুটা ভেঙে পড়ে আছে অনেক বছর। অসুস্থ বা গর্ভবতী মহিলাদের নিতে খুব কষ্ট হয়, কেউ আসে না দেখতে। আমাদের সেতুটা ভালো করে দিলে খুব উপকার হতো।” 

অটোচালক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আট বছর ধরে এই সেতু ভাঙা পড়ে আছে। যানবাহন চলতে পারে না, মালামাল নেওয়া যায় না। কেউ অসুস্থ হলে ১৫-১৬ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে নিতে হয়। কত কষ্ট হয়—সে তো কেবল আমরাই জানি।” স্কুলশিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের  জানান, “তবকপুর ও আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এই পথ ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে সেতুটি ভাঙার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অনুরোধ করেও কোনো ফল হয়নি। শিক্ষার্থীদের এখনো ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় পার হতে হয়।” 

উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সাংবাদিকদের  বলেন, “সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন