নতুন অভিজ্ঞতা মস্তিষ্ককে সতেজ ও তীক্ষ্ণ রাখে

বার্ধক্য একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া হলেও, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি দৈনন্দিন জীবনে মস্তিষ্ককে নতুন চ্যালেঞ্জ বা কাজের মাধ্যমে ব্যবহার না করা হয়, তবে এর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে। এই নীতিকে বোঝানো হয় “ব্যবহার করুন অথবা হারান” হিসেবে।
মস্তিষ্ক সচল রাখার উপায়:
নতুন কিছু শেখা যেমন নতুন ভাষা, বাদ্যযন্ত্র শেখা, নতুন জায়গা ভ্রমণ করা বা প্রতিদিনের রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনা মস্তিষ্কে নতুন স্নায়বিক সংযোগ (neural pathways) তৈরি করে। এই প্রক্রিয়া মস্তিষ্ককে সচল, তীক্ষ্ণ এবং তরুণ রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক।
বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, তাদের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা তাই প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সতর্ক করে বলেন, দৈনন্দিন জীবনকে চ্যালেঞ্জমুক্ত রুটিনে সীমাবদ্ধ না রেখে নতুন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
শিশু থেকে প্রবীণ—সবার জন্যই নতুন কিছু শেখা ও মস্তিষ্ককে সচল রাখার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক জীবনের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।