শ্যামনগরে উপকূলীয় আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতা


উপকূলীয় এলাকার হারিয়ে যাওয়া সবুজ ঐতিহ্য ও স্থানীয় খাদ্যভান্ডার সংরক্ষণের আহ্বানে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে “উপকূলীয় আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতা”।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপকূলের বিভিন্ন গ্রামের কৃষক-কৃষানি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজনটি যৌথভাবে করে সবুজ সংহতি ও স্থানীয় জনসংগঠনগুলো, আর সহযোগিতায় ছিল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
‘সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন এগ্রোইকোলজি ২০২৫’ ও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা উপকূলীয় অঞ্চলে জন্মানো নানা রকমের আজাবা (অচাষকৃত) শাক, ফল, লতা ও কন্দজাত উদ্ভিদ প্রদর্শন করেন।
রান্না প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীরা স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত আজাবা শাক দিয়ে পুষ্টিকর ও ঐতিহ্যবাহী নানা পদ রান্না করেন। এতে স্থানীয় খাবারের পুষ্টিগুণ, টেকসই কৃষি এবং জৈববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
আয়োজকরা বলেন, “আজাবা শাক শুধু খাদ্য নয়—এটি আমাদের সংস্কৃতি, চিকিৎসা ও টেকসই জীবনের অংশ। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এসব উদ্ভিদ সংরক্ষণ আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্গেও জড়িত।”
মেলার পুরো পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। স্থানীয় শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের উদ্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় জ্ঞান ও প্রাকৃতিক খাদ্যভান্ডার সংরক্ষণে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
